২৬ জুন ২০২৫ তারিখে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিক অংশগ্রহণ, মত প্রকাশের অধিকার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে মানুষের মতামতকে সম্মান করা এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষও নানা বিষয় তুলে ধরছেন, আর এগুলো গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও সক্রিয় করছে।
মানবাধিকার সংক্রান্ত সংগঠনগুলোও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু সাধারণ উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। তারা মনে করেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে দরকার আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং জবাবদিহিতা। নাগরিকরা যেন নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, আর বিচারপ্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে এই দাবি এখন সর্বত্র শোনা যায়। অনেকেই বলছেন, সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত মানবাধিকার নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে।
আমি নিজেও মিরপুরে বড় হয়েছি, আর স্কুলজীবন থেকেই দেখছি মানুষ রাজনীতি নিয়ে কতভাবে কথা বলেন। আমাদের এলাকায় চা দোকানে বা টিউশন শেষে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় রাজনীতি, ভোট, নাগরিক অধিকার নিয়েই আলোচনা হতো। আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনেছি, গণতন্ত্রের মূল শক্তি হলো মানুষের অংশগ্রহণ। একবার আমাদের স্কুলে মানবাধিকার নিয়ে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে শিক্ষকরা বলেছিলেন, ছোট ছোট বিষয় যেমন বর্ণ বৈষম্য, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিংবা সবার প্রতি সম্মান দেখানোর মধ্য দিয়েও মানবাধিকার চর্চা শুরু হয়। তখন প্রথমবার বুঝেছিলাম বিষয়টি শুধু রাজনীতি নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ।
আজকের তরুণ প্রজন্ম আরও সচেতন। অনেকে অনলাইনে নানা সামাজিক বিষয় নিয়ে মতামত দেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ এই সক্রিয়তা ভবিষ্যতে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তরুণরা বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক চর্চা শক্তিশালী হতে হলে সবাইকে সম্মান করতে হবে এবং সবার কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেকেই বুঝতে পারছেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, বরং নাগরিক অধিকার রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
সব মিলিয়ে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আজকের বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। নাগরিকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছ প্রশাসন, আরও জবাবদিহিতা এবং আরও স্বাধীন নাগরিক পরিবেশ তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়েই টেকসই গণতন্ত্র গড়ে উঠতে পারে। তরুণদের আগ্রহ এবং জনগণের সচেতনতা যদি এভাবেই বাড়তে থাকে, তাহলে আগামী দিনে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ আরও শক্তিশালী হবে বলেই অনেকের বিশ্বাস।
Top comments (4)
গণতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করতে করতে চায়ের দোকানে এত বিশেষজ্ঞ তৈরি হইছে, ইউনিভার্সিটি খোলা যায় এখন! 😂
গণতন্ত্র শুধু ভোটের মধ্যে সীমাবদ্ধ না, প্রতিদিনের জবাবদিহিতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাই আসল পরীক্ষা।
Bhai gonontro niye alochona cholche, kintu loadshedding e fan cholche na - erokom democracy te amra expert! 😅
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই, মানুষের মতামতকে সম্মান না করলে গণতন্ত্র কখনোই টেকসই হবে না।