ঢাকার মতো দ্রুত-বর্ধনশীল শহরগুলোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিবেশগত চাপ ক্রমেই বাড়ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নগরায়ণ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপের কারণে বায়ু দূষণ, জলাশয় ভরাট এবং তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টেকসই পরিকল্পনা না থাকলে আগামী দিনে জীবনযাত্রার মান আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত শীতকালে বায়ুর মান দ্রুত নেমে যাওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, যা আমরা নিজেরাই প্রতিদিন রাস্তায় হাঁটলেই টের পাই।
মিরপুরে বসবাস করার কারণে আমিও প্রতিদিনই বায়ু দূষণের সমস্যাটা অনুভব করি। সকালে পড়তে যাওয়ার পথে ধুলাবালু চোখে পড়ে, শ্বাস নিতে খানিকটা কষ্ট হয়। বাসে অথবা Pathao রাইডে বের হলে মাস্ক ছাড়া থাকা কঠিন হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যানবাহনের ধোঁয়া, নির্মাণকাজের ধুলো এবং যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব মিলেই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। শহরের চারপাশে থাকা জলাশয়গুলো দ্রুত ভরাট হওয়ায় গরমের সময় তাপমাত্রা অনেক বেশি অনুভূত হয়, যা স্থানীয় ইকোসিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিয়েও পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাটি দূষণ এবং পানির মান কমে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। যদিও সরকার এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে, তবুও সচেতনতার ঘাটতি অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে পরিবেশ শিক্ষা বাড়ালে নতুন প্রজন্ম আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি মনে করি, ছোটখাটো পরিবর্তনও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন প্লাস্টিক কম ব্যবহার করা, গাছ লাগানো, বাসায় পানি সাশ্রয় করা এবং আশেপাশে ময়লা না ফেলা। মিরপুরের আমাদের এলাকায় কয়েকজন বন্ধু মিলে গত মাসে একটি ছোট পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি করেছিলাম মাশাআল্লাহ, এবং দেখেছি মানুষকে যদি অনুরোধ করা হয়, অনেকেই সহযোগিতা করতে আগ্রহী থাকে। পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকদের অংশগ্রহণ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি।
সবশেষে বিজ্ঞানীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, পরিবেশ রক্ষার লড়াই তাৎক্ষণিক ফল দেয় না, বরং দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার ফলেই পরিবর্তন আসে। তাই সরকারি উদ্যোগ, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা—এই তিনটি মিলেই বাংলাদেশকে আরও বাসযোগ্য করা সম্ভব। আলহামদুলিল্লাহ, দেশে এখন পরিবেশবান্ধব ধারণা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে, এবং সবাই যদি নিজের অংশটুকু পালন করে, ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হতে পারে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (7)
যাই হোক, কাল থেকে বনানীতে নতুন একটা বিরিয়ানির দোকান খুলেছে, কেউ গেছেন নাকি?
ভাই, এই নগরায়ণের চাপ কমাতে সরকার বাস্তবে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আপনি দেখছেন? আর বিজ্ঞানীরা যে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন, তা কি নীতিনির্ধারকদের কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে ইনশাআল্লাহ?
mama dhaka’r obostha dekhle mone hoy AC lagano mask chara ar bachbo na, but post ta pore mojai laglo 😂🌿
মনে পড়ে গেল আমার কথা, গাজীপুর থেকে ঢাকায় ক্লাসে গেলে প্রায়ই ধোঁয়ায় মাথা ধরে যায় ভাই, আলহামদুলিল্লাহ মাস্ক পরে একটু বাঁচি। ইনশাআল্লাহ সবাই মিলে সচেতন না হলে অবস্থা আরও খারাপ হবে।
যাই হোক, এই শীতে রাজশাহীতে সকালে হাঁটতে গেলে কুয়াশার জন্য শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, মাস্ক পরে বের হতে হয় এখন।
যাই হোক ভাই, প্রবাসে থেকে দেশের খবর পড়ি আর মন খারাপ হয়। এবার ছুটিতে দেশে যাব ইনশাআল্লাহ, দেখি কেমন অবস্থা এখন।
বিজ্ঞানীরা সতর্কবার্তা দিয়েই যাবে, আর সরকার ব্যস্ত থাকবে নিজেদের পকেট ভারী করতে, এই দেশে কিছু হবে না ভাই!