২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী সারা দেশে স্থানীয় নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় নতুন মাত্রা এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক কর্মসূচি ও প্রচারণার পরিবেশ তৈরি হওয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিয়ে নতুন করে আশা দেখা যাচ্ছে। ঢাকা শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে মফস্বল এলাকাগুলোতেও ভোটারদের মধ্যে এখন বেশি সচেতনতা এবং নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের আগ্রহ আগের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, যা আগামী দিনের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
মোহাম্মদপুর এলাকায় কাজ করতে গিয়ে আমি নিজেই লক্ষ্য করেছি যে অনেকেই এখন প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি যাচাই করে দেখছেন। আগের মতো শুধু পরিচিতির ভিত্তিতে ভোট দেওয়ার প্রবণতা কমে গেছে। মানুষ এখন জানতে চায় প্রার্থী কি ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা দিচ্ছেন, স্থানীয় সমস্যাগুলো যেমন ড্রেনেজ, রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যসেবা বা নিরাপত্তা নিয়ে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। অনেক বাসিন্দাই বলেছেন, যদি নির্বাচনে প্রতিযোগিতা সুষ্ঠু হয়, তাহলে তারা নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
একজন এনজিও কর্মী হিসেবে বিভিন্ন বাড়িতে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচারণায় অংশ নিয়ে দেখেছি, বিশেষ করে নারী ভোটাররা এখন আরও উৎসাহী। তারা মনে করেন, স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নিজেদের এলাকায় সরাসরি পরিবর্তন আনার সুযোগ তৈরি হয়। মোহাম্মদপুরের রমজান মিয়া মার্কেটের পাশের এক আপা বলছিলেন, আগেরবার ভোট না দিলেও এবার তিনি ভোট দিতে চান, কারণ তার এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান চান। এ ধরনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে মানুষের প্রত্যাশা এবং দাবি সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে।
তবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সবার আগে প্রয়োজন নিরাপদ ও স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। অনেকেই বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলার পরিবেশ থাকলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। প্রশাসন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও আলোচনা আছে। যদিও নির্দিষ্ট বিবরণ এখনো পরিষ্কার নয়, তবুও সবাই আশা করছেন যে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করবে। আলহামদুলিল্লাহ, সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ ভোট চায় এবং নিজেদের মতামত প্রকাশের অধিকারকে মূল্য দেয়।
সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায়, স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের উৎসাহ এবং প্রত্যাশা ধীরে ধীরে বাড়ছে। গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের এই ধারাবাহিকতা টেকসই উন্নয়ন এবং সুশাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইনশাআল্লাহ, অংশগ্রহণমূলক এই পরিবেশ আরও শক্তিশালী হলে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও আরও পরিণত হবে।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় স্থানীয় নির্বাচনের সময় এলাকায় একটু নিরাপত্তা বাড়লে মানুষ আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোট দিতে আসে, ইনশাআল্লাহ এবারও একই পরিবেশ হবে। মফস্বলে গতবার আমিও দেখেছি প্রচারণা বাড়লে ভোটারদের আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়।
Bhai, mofossol area gulo te ki voter list thik moto update hoise? Last bar to onek somossa hoisilo.
ভাই, এই বাড়তি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কি মাঠের বাস্তব অবস্থাতেও দেখা যাচ্ছে, নাকি শুধু আলোচনা পর্যায়েই আছে? একটু বুঝিয়ে বলবেন ইনশাআল্লাহ?
ভাই, এই স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আসলেই কি এতটা বাড়ছে, নাকি শুধু প্রচারণার কারণেই এমন মনে হচ্ছে? একটু পরিষ্কার করে বলবেন ইনশাআল্লাহ?
স্থানীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়লেই আসল পরিবর্তন আসবে, ইনশাআল্লাহ।