মোহাম্মদপুরে স্থানীয় ক্রিকেট এবার আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে, বিশেষ করে এলাকাভিত্তিক ছোট টুর্নামেন্টগুলোতে নতুন করে অংশগ্রহণ বাড়ছে। ১৮ মার্চ ২০২৫ সকাল থেকেই বিভিন্ন মাঠে অনুশীলনের ব্যস্ততা চোখে পড়ছে। এলাকার তরুণরা বলছেন, গত মাসে বিপিএল ২০২৫ এ ফর্চুন বরিশালের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাদের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। অনেকে মাশাআল্লাহ নতুন ব্যাটিং ক্যাম্পেও নাম লিখিয়েছে, যদিও এগুলো পুরোই ব্যক্তিগত উদ্যোগে চলছে।
আমি নিজেও গত সপ্তাহে মোহাম্মদপুরের তাকিয়া মসজিদ মাঠে একটি ছোট টুর্নামেন্ট দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে ১৬ ওভার ফরম্যাটের এক ম্যাচে দুই পাশের পাড়া থেকে দারুণ দর্শক সমাগম ছিল। যদিও পেশাদার ব্যবস্থাপনা নেই, তবুও ছেলেগুলো নিজের চেষ্টায় আম্পায়ার, স্কোরার এবং লাইভ আপডেটের জন্য Facebook পেজ বানিয়ে রেখেছে। আলহামদুলিল্লাহ এখনকার ছেলেরা শুধু খেলা নয়, পুরো ইভেন্টটাই নিজেরা সাজিয়ে তুলতে পারে। একজন খেলোয়াড় আমাকে বলছিল, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এ ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আলোচনাও আবার নতুন করে শুরু হয়েছে, যা তাদের অনুশীলনে আরও অনুপ্রাণিত করছে।
স্থানীয় কোচরা মনে করছেন, নিয়মিত অনুশীলনের পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক এসব টুর্নামেন্ট খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। বিশেষ করে যারা স্কুল-কলেজ লেভেলের বাইরে পেশাদার কোচিং পাওয়ার সুযোগ কম পায়, তারা এসব টুর্নামেন্ট থেকেই ম্যাচ টেম্পো শিখে নেয়। মোহাম্মদপুরের শ্যামলী ও রিং রোডের আশপাশের মাঠগুলোতে Pathao বা বেসরকারি স্পন্সরদের সহায়তায় ছোট পুরস্কারও দেয়া হচ্ছে। এতে খেলোয়াড়দের আগ্রহ আরও বাড়ছে ইনশাআল্লাহ।
অভিভাবকেরাও এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সমর্থন দিচ্ছেন। কয়েকজন মা বলছিলেন, সন্তানরা ফোন বা গেমে সময় নষ্ট না করে মাঠে খেললেই তারা খুশি। নতুন মায়েরাও শিশুকে নিয়ে বিকেলে মাঠে এসে একটু হাঁটাহাঁটি করেন, আমিও প্রায়ই আমার ছোটটাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের আদাবর মাঠে যাই। সেখানে খেলা দেখতে দেখতে মনে হয়, আমাদের এলাকার ক্রিকেটের দিনটা সামনে আরও ভালো। খেলোয়াড়রা যদি নিয়মিত প্র্যাকটিস, ফিটনেস আর টিমওয়ার্ক ধরে রাখতে পারে, তাহলে মোহাম্মদপুর থেকেও ভবিষ্যতে বড় পর্যায়ের ক্রিকেটার তৈরি হওয়া অসম্ভব নয়।
সামগ্রিকভাবে বলা যায়, স্থানীয় ক্রিকেট এখন শুধু বিনোদন নয়, বরং কমিউনিটির এক ধরনের সংযোগের জায়গা হয়ে উঠছে। তরুণরা যেমন খেলছে, তেমনি বড়রা পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন। এমন পরিবেশ বজায় থাকলে ঢাকা শহরের ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও খেলাধুলার এই ইতিবাচক ধারা আরও ছড়িয়ে পড়বে ইনশাআল্লাহ। 😊
Top comments (5)
bhai tournament e participate korte hole registration process ta ki? kono contact number dite parben?
Ei local tournament gulo thekei to amar mone hoy next generation er talent ber hoye ashe, BPL er star ra o to ekdin eivabe shuru korechilo.
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, মোহাম্মদপুরের তরুণদের এই উচ্ছ্বাস সত্যিই মাশাআল্লাহ অনুপ্রেরণাদায়ক। ইনশাআল্লাহ আরও ভালো টুর্নামেন্ট হবে।
এটা ভাবার বিষয় যে বিপিএল-এর মতো বড় টুর্নামেন্ট কীভাবে তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটের আগ্রহ বাড়াতে পারে, ইনশাআল্লাহ এখান থেকেই ভবিষ্যতের তারকারা উঠে আসবে।
হাহা মোহাম্মদপুরের ছেলেরা এখন সবাই সাকিব-তামিম হইতে চায়, মাশাআল্লাহ স্বপ্ন দেখুক! 😄