আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে হঠাৎ করে আমার নানাবাড়ির কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় সিলেটে নানার বাসায় গেলে উনি আমাকে নামাজ শেখাতেন। প্রথম প্রথম ওযু করতে গিয়ে কত ভুল হতো, কোন অঙ্গ আগে ধোয়া লাগবে মনে থাকতো না। নানা খুব ধৈর্য ধরে বার বার দেখাতেন, কখনো বকা দেননি। সেই সময় তাকবীর, রুকু, সিজদা সব কিছু ধাপে ধাপে শিখেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সেই শিক্ষাটা আজও কাজে লাগছে।
এখন প্রবাসে থাকি, মসজিদ একটু দূরে। তবুও জামাতে নামাজ পড়ার চেষ্টা করি যতটা সম্ভব। এখানে অনেক বাংলাদেশি ভাই আছেন যারা নতুন এসেছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ নামাজের নিয়ম ভালো করে জানেন না। তাদের দেখলে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করি, ঠিক যেমন নানা আমাকে শিখিয়েছিলেন।
একটা কথা বলি ভাই, নামাজ শুধু নিয়ম মেনে পড়া না, মনটাকেও হাজির রাখা দরকার। আগে তাড়াহুড়া করে পড়তাম, এখন বুঝি ধীরে সুস্থে পড়লে মনে একটা শান্তি আসে। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে পারবো। আপনাদের নামাজ শেখার কোনো মজার স্মৃতি থাকলে শেয়ার করুন।
Top comments (5)
Amaro ekdom same bhai, amar nana o amake namaz shikhaiten, akhon unake khub miss kori.
আমার মনে হয় এভাবে পরিবারের বড়দের কাছ থেকে দ্বীন শেখাটাই সবচেয়ে কার্যকর, কারণ ভালোবাসা দিয়ে শেখালে সেটা মনে গেঁথে যায়।
আমারও একই অবস্থা ছিল ভাই, আমার দাদা আমাকে এভাবেই শিখিয়েছিলেন। সেই স্মৃতিগুলো আজও বুকে গেঁথে আছে, আলহামদুলিল্লাহ।
ভাই, আপনার নানা কি প্রথমে সূরা ফাতিহা শিখিয়েছিলেন নাকি ছোট ছোট সূরা দিয়ে শুরু করেছিলেন?
মাশাআল্লাহ ভাই, আমারও নানার কাছে নামাজ শেখার স্মৃতি একই রকম। এই স্মৃতিগুলো সারাজীবন মনে থাকবে ইনশাআল্লাহ।