দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আজকাল বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ১৬ মার্চ ২০২৫ এর এই সময়ে প্রশাসন, প্রার্থীরা এবং সাধারণ ভোটার সবাই মিলে নির্বাচনী পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ রাখতে চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে, ভোটারদের আগ্রহ আগের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অংশগ্রহণের মানসিকতা আরও দৃশ্যমান। আলহামদুলিল্লাহ, নির্বাচন ঘিরে এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অস্থিরতার খবর পাওয়া যায়নি বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি রয়েছে।
ধানমন্ডিতে বসবাসকারী একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে আমি নিজেও দেখছি, আশেপাশের এলাকায় প্রার্থীরা ধীরে ধীরে প্রচারণা শুরু করেছেন। অনেকেই এলাকাবাসীর সঙ্গে দেখা করে পরিচিত হচ্ছেন, আবার কেউ কেউ সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, স্থানীয় সমস্যাগুলো যেমন সড়কের অবস্থা, ড্রেনেজ, নিরাপত্তা এবং বিদ্যুৎ সেবার মানই ভোটারদের প্রধান আলোচ্য বিষয়। মানুষ এখন সেই প্রার্থীকে প্রাধান্য দিচ্ছে, যিনি বাস্তবসম্মত কাজের পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারছেন।
নির্বাচনকে গতিশীল রাখতে বিভিন্ন অঞ্চলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা তদারকি এবং প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রশিক্ষিত কর্মী প্রস্তুত রাখা এসবই সাধারণ নির্বাচন ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে সম্পন্ন করা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা সবসময়ই থাকে, তাদের ভোট যেন সঠিকভাবেই গণনা হয় এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত স্বচ্ছভাবে প্রকাশ পায়। ইনশাআল্লাহ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম হলে ভোটারদের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি পাবে।
একটি বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে প্রচারণা বেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। যদিও এটি নতুন কিছু নয়, তবুও ব্যাপকভাবে তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় ভোটারদের সচেতনতা বেড়েছে। তবে একই সঙ্গে ভুয়া তথ্য ও গুজব ছড়ানোর ঝুঁকিও রয়েছে, যা মোকাবেলায় সচেতনতা জরুরি। আমার এলাকার অনেকেই বলছিলেন যে তারা প্রচারাভিযান দেখার পাশাপাশি অবস্থান যাচাই করতে সরাসরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। এতে করে স্থানীয় পর্যায়ে এক ধরনের আস্থা তৈরি হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও শক্তিশালী করে।
সর্বোপরি, আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে প্রস্তুতি ও আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ইতিবাচক। সাধারণ মানুষ চায়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যেন এলাকার জন্য বাস্তবসম্মত কাজ করতে পারেন এবং সৎভাবে দায়িত্ব পালন করেন। মাশাআল্লাহ, জনগণের এমন প্রত্যাশা থাকায় ভবিষ্যতের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, সামনে একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সবারই আশাবাদ।
Top comments (7)
ভোটারদের প্রত্যাশা? ভাই হাসাইয়েন না, এই দেশে ভোটের আগে যত প্রতিশ্রুতি দেয় ভোটের পরে সব ভুলে যায়!
আমার অভিজ্ঞতায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক এটা সবাই চায়, আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত পরিবেশ মোটামুটি ভালোই আছে, ইনশাআল্লাহ ভোটাররা নিরাপদে ভোট দিতে পারবে।
ভাই, আপনার এলাকায় ভোটারদের অংশগ্রহণ কেমন দেখছেন, আগের তুলনায় কি বাড়ছে নাকি কমছে? নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে মানুষ কতটা আশাবাদী মনে হয়?
বরিশাল অঞ্চলে কবে নাগাদ নির্বাচন হতে পারে কেউ কি জানেন?
মনে পড়ে গেল আমার কথা, বরিশালে আগের স্থানীয় নির্বাচনে আমরাও এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য অনেক দোয়া করেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, এবারও ইনশাআল্লাহ সবাই শান্তভাবে ভোট দেবে আশা করি।
মামা খুব সুন্দরভাবে বিষয়টা তুলে ধরেছেন, ইনশাআল্লাহ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই সবাই চায়। আশা করি এবার ভোটারদের অংশগ্রহণও ভালো হবে।
আমি একমত নই ভাই, আমাদের ময়মনসিংহে কিন্তু এখনও ভোটারদের আগ্রহ তেমন বাড়েনি, বাস্তবতা পোস্টে যেভাবে বলা হয়েছে ঠিক তেমন না।