Banglanet

চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকার পরিবেশে নতুন উদ্বেগ

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, চট্টগ্রাম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে সাম্প্রতিক সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আবহাওয়ার অনিয়মিত পরিবর্তন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং সামুদ্রিক বর্জ্য বৃদ্ধির ফলে এই অঞ্চলের পরিবেশ ক্রমেই চাপের মুখে পড়ছে। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশ, বিশেষ করে চট্টগ্রাম উপকূল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলোচ্ছ্বাস ও অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রভাব বেশি অনুভব করছে বলে অনেকেই উল্লেখ করছেন। যদিও এসব পরিবর্তনের পেছনে নির্দিষ্ট কোনও একক কারণ এখন পর্যন্ত চিহ্নিত হয়নি, পরিবেশ গবেষকরা এটিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত বলে মন্তব্য করছেন।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় চিকিৎসা পেশায় কর্মরত অনেকেই বলছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাসহ বিভিন্ন পরিবেশজনিত রোগী কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে হাসপাতালের চেম্বারে কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছি যে ধুলা, আর্দ্রতা এবং বায়ুদূষণের কারণে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট এবং অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যাগুলো আগের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবে পরিবেশগত ঝুঁকি কমানো গেলে স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমবে এটি স্পষ্ট।

সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন অংশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যাও নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীতে প্লাস্টিক ও শিল্পবর্জ্য নিয়ে নাগরিকদের উদ্বেগ বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন যে নদীর পাড়ে অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ, ভাসমান প্লাস্টিক এবং কালো রঙের পানি তারা নিয়মিতই দেখছেন। Pathao বা রিকশায় আগ্রাবাদ থেকে চাক্তাইয়ের দিকে গেলে নদীর পাশ দিয়ে চলার সময় এই দূষণের ছবি আরও স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এ ধরনের দূষণ অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

পরিবেশ উন্নয়নে নাগরিকদের অংশগ্রহণ এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক তরুণ স্বেচ্ছাসেবক দল নদী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এবং পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পাশাপাশি সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আরও সমন্বিতভাবে সামনে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা কোনও একক পক্ষের দায়িত্ব নয়, বরং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এখানে মূল ভূমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ সচেতনতা এবং বাস্তব পদক্ষেপ বাড়লে ভবিষ্যতে উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ অনেকটাই সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।

চট্টগ্রামের মানুষ অতিথিপরায়ণ, কর্মচঞ্চল এবং প্রকৃতি-নির্ভর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত। তাই পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি এখানে শুধু বৈজ্ঞানিক আলোচনার বিষয় নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাছ, চা, ইলিশ কিংবা বৃষ্টিভেজা খিচুড়ির স্বাদ সবই শেষ পর্যন্ত পরিবেশের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে আজকের দায়িত্ববোধই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ প্রকৃতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে মাশাআল্লাহ।

Top comments (5)

Collapse
 
farhan_krim_bd profile image
ফারহান করিম

আমার মতে উপকূলীয় পরিবেশের এই চাপ ভবিষ্যতে মানুষের জীবনযাত্রা ও মৎস্যসম্পদে বড় প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আলহামদুলিল্লাহ সচেতনতা বাড়ছে, ইনশাআল্লাহ সমন্বিত উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব।

Collapse
 
russellparbheen profile image
Russell Parbheen

সরকার এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি ভাই?

Collapse
 
farhan_miah_bd profile image
Farhan Miah

Sotti kotha bhai, upokulio elaka niye amader aro beshi sorokar howa dorkar. Allahor rohom chara ei poristhiti theke baire asha kothin hobe.

Collapse
 
sanjidaali profile image
Sanjida Ali

হাহা ভাই, পরিবেশের খবর এমন টেনশন দিছে যে মনে হচ্ছে চট্টগ্রামের আবহাওয়াই আমাদেরকে প্র্যাকটিক্যাল জোক দিচ্ছে। আল্লাহ ভরসা, ইনশাআল্লাহ একটু শান্ত হবে।

Collapse
 
imranraj40 profile image
ইমরান রায়

ভাই, সামুদ্রিক বর্জ্য আর তাপমাত্রা বাড়ার মূল কারণটা ঠিক কতটা গুরুতরভাবে পরিবেশকে প্রভাবিত করছে বলতে পারবেন? আরো জানতে চাই।