আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে একটু নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাইছি। ফ্রিল্যান্সিং করি প্রায় তিন বছর ধরে, আগ্রাবাদে থাকি। রাত জেগে কাজ করা, অনিয়মিত ঘুম, আর স্ক্রিনের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা এগুলো তো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এর ফলে স্কিনের কি অবস্থা হয়েছিল বলে বোঝাতে পারবো না। ডার্ক সার্কেল, ব্রণ, শুষ্ক ত্বক সব একসাথে।
গত বছর থেকে সিরিয়াসলি স্কিনকেয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। প্রথমে ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখলাম, তারপর চট্টগ্রামের একজন ডার্মাটোলজিস্টের কাছে গেলাম। উনি বললেন যে এত দামি প্রোডাক্ট লাগবে না, বেসিক জিনিস ঠিকমতো করলেই হবে। আলহামদুলিল্লাহ সেই পরামর্শ অনেক কাজে দিয়েছে।
এখন আমার রুটিন খুবই সিম্পল। সকালে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুই, তারপর একটা হালকা ময়েশ্চারাইজার আর সানস্ক্রিন। রাতে কাজ শেষে আবার ফেসওয়াশ, তারপর নাইট ক্রিম। সপ্তাহে দুইদিন হালকা এক্সফোলিয়েশন করি। Daraz থেকে কিছু প্রোডাক্ট কিনি, কিছু লোকাল ফার্মেসি থেকে। বড় ব্র্যান্ডের পেছনে না ছুটে যেটা স্কিনে সুট করে সেটাই ব্যবহার করি।
সবচেয়ে বড় চেঞ্জ এনেছি লাইফস্টাইলে। এখন রাত দুইটার পরে কাজ করি না, দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি খাই। চা কমিয়ে দিয়েছি, আগে দিনে পাঁচ ছয় কাপ খেতাম। এখন দুই কাপের বেশি না। ইলিশ মাছ, শাকসবজি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করি। তেলে ভাজা জিনিস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলি।
ভাইয়েরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তাদের বলবো স্কিনকেয়ার মানে শুধু মেয়েদের বিষয় না। আমরা ছেলেরাও একটু যত্ন নিলে অনেক ভালো থাকা যায়। মাশাআল্লাহ এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো ফিল করি। ইনশাআল্লাহ সামনে আরো উন্নতি হবে। আপনাদের কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন 😊
Top comments (5)
mama ei skincare routine ta follow korte real benefit paisen naki, ektu detail e bolben?
amar o eki experience, bhai mamun, rat e long shift er jonno skin pura rough hoye gese chilo, ekhon dhire dhire routine follow korte korte bhalo hoite sese alhamdulillah.
hahaha bhai skincare routine ki, amra to raat 3 tar client er sathe zoom call e nijei glow hoye jai! dark circle amar personality er part hoye geche ekhon 😂
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনিয়মে স্কিন রুটিন মেইনটেইন করাই সবচেয়ে কঠিন লাগে মাশাআল্লাহ আপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, ফ্রিল্যান্সিং করলে স্কিনের যত্ন রাখা সত্যিই কঠিন হয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ ধীরে ধীরে রুটিন ধরলে উপকার মিলবে।