আমাদের দেশে দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা সব সময়ই খুব সংবেদনশীল, কিন্তু এই নিয়ে কথা বলা জরুরি, বিশেষ করে রাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বার্থে। গত কিছু বছর ধরে বিভিন্ন দপ্তরে স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য কিছু উদ্যোগ দেখা গেছে, কিন্তু সাধারণ নাগরিক এখনো বাস্তবে তেমন বড় পরিবর্তন অনুভব করতে পারে না। আমার মতে, শুধু নতুন নীতি করলেই হবে না, বরং সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাই মূল বিষয়। বনানীতে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি অনেক কর্মকর্তা নিজেদের মতো চেষ্টা করেন, কিন্তু সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে অগ্রগতি আটকে যায়। তাই রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শক্ত নির্দেশনা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না গেলে বড় পরিবর্তন আসবে না ইনশাআল্লাহ।
দুর্নীতি কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রযুক্তিনির্ভর প্রশাসন, স্বাধীন নজরদারি এবং নাগরিকের অংশগ্রহণ বাড়ানো। আজকাল অনেক সেবা ডিজিটাল হয়েছে, যা আলহামদুলিল্লাহ ভালো দিক, তবে সেগুলোতে সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষার বিষয়েও আরও মনোযোগ দরকার। নাগরিক হিসেবে আমরাও যদি নিজের কাজ সঠিকভাবে করি এবং ঘুষ বা শর্টকাটের পথে হাঁটি না, তাহলে পরিবেশ ধীরে ধীরে বদলাবে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নির্বাচন বা প্রতিশ্রুতির সময় শুধু কথা না বলে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা দেওয়া। মাশাআল্লাহ আমাদের দেশের সম্ভাবনা অনেক, শুধু দুর্নীতি কমাতে পারলেই উন্নয়নের গতি আরও এগিয়ে যাবে।
Top comments (4)
আমি একমত নই ভাই, কারণ শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা বললে হবে না, বাস্তবে প্রশাসনের ভেতরের জবাবদিহি শক্তিশালী না হলে কোন পরিবর্তন টেকসই হয় না। আলহামদুলিল্লাহ কিছু উদ্যোগ হয়েছে, কিন্তু এগুলো এখনো মাঠে দেখা যায় না।
ভাই, রাজনৈতিক সদিচ্ছা শক্তিশালী করতে বাস্তবে কোন পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি কমবে বলে আপনি মনে করেন? আর সাধারণ মানুষ কীভাবে এটা অনুভব করবে ইনশাআল্লাহ?
ভাই শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা দিয়ে কিছু হবে না, সিস্টেম চেঞ্জ না হলে যে আসুক একই অবস্থা থাকবে।
আমি একমত নই ভাই, শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা বললে হবে না, নিচের পর্যায়ের জবাবদিহিটাও ঠিকভাবে না হলে সাধারণ মানুষ কোনো পরিবর্তনই টের পায় না।