সম্প্রতি দেশে সফটওয়্যার ও ডিজিটাল সেবার ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অফিস, ব্যাংক, ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন অনলাইন সেবায় ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ আরও জটিল হয়ে উঠছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসে বিশ্বব্যাপী যেভাবে সাইবার হামলার ধরণ বদলেছে, বাংলাদেশকেও এখন আরও সতর্ক হতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই সচেতনতা বাড়ছে, তবে ঝুঁকি এখনো পুরোপুরি কমেনি।
গত কয়েক মাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডেটা ফাঁসের সম্ভাবনা নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে, তার বেশিরভাগই উঠে এসেছে সাধারণ ব্যবহারকারীর দুর্বল পাসওয়ার্ড বা অনিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের কারণে। আমি নিজে একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে রংপুরে কাজ করি। আমাদের টিমের মধ্যেও আমরা সম্প্রতি একটি অভ্যন্তরীণ সিস্টেম আপডেট করেছি যাতে দুই ধাপ যাচাইকরণ যুক্ত করা হয়। আগে এগুলোকে অতিরিক্ত ঝামেলা মনে হলেও এখন বুঝি যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন ব্যবস্থা অপরিহার্য। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আরও উন্নত এনক্রিপশন ব্যবহারের পরিকল্পনাও আছে।
বাংলাদেশের সাধারণ ব্যবহারকারীরা এখন আগের তুলনায় অনলাইন পেমেন্ট, বকশি (bKash), নগদ বা বিভিন্ন ই-ওয়ালেট বেশি ব্যবহার করছেন। তবে অনেকেই এখনো খেয়াল করেন না যে অজানা লিংকে প্রবেশ করা বা অচেনা অ্যাপ ইনস্টল করা কত বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ফেসবুক বা ইউটিউবে ভুয়া বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন, যা সাইবার অপরাধীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, পরিচিত উৎস থেকে সফটওয়্যার ও অ্যাপ ব্যবহার করতে, পাসওয়ার্ড নিয়মিত পরিবর্তন করতে এবং সন্দেহজনক মেসেজ এলে সেটি উপেক্ষা করতে।
সরকারি পর্যায়েও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন বিভিন্ন দপ্তরে সাইবার মনিটরিং সেল সক্রিয় রয়েছে এবং ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণাও চলছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশে বড় ধরনের ডিজিটাল রূপান্তর যেহেতু চলছে, তাই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব সাইবার টিম গড়ে তুলতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে। সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া গেলে বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিকে আরও নিরাপদ ও টেকসই রাখা সম্ভব। মাশাআল্লাহ, প্রযুক্তি খাতে তরুণদের আগ্রহও বাড়ছে, যা এই পরিবর্তনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
Top comments (5)
amar obiggota theke bolsi bhai, ekbar amar ekta ecommerce account hack hoye chilo, tokhon bujhi cyber security koto vital, sobai careful thakun inshaAllah.
Ekdom thik bolechhen bhai, amader desh e cyber security niye shotti onek beshi awareness dorkar ekhon.
ভাই, বাংলাদেশের এত সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে শুনে চিন্তা লাগছে, আসলে কোন দিকটা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে একটু বুঝিয়ে বলবেন?
Amar office er email last month e hack hoye gechilo, sob client er data risk e chole gechilo bhai, ekhon theke two-factor authentication chara kichu kori na.
গত মাসে আমার অফিসের ইমেইল হ্যাক হয়ে গেছিল, সেই থেকে বুঝলাম এই বিষয়টা কতটা সিরিয়াস।