আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে BCS পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করতে চাই। আমি নিজে দীর্ঘদিন ধরে এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি এবং যা শিখেছি তা আপনাদের সাথে বলছি। ইনশাআল্লাহ এই টিপসগুলো কাজে লাগবে।
প্রথমত, একটা সঠিক রুটিন তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করার চেষ্টা করুন। সকালে উঠে বাংলা ও ইংরেজি গ্রামার পড়ুন, দুপুরে সাধারণ জ্ঞান এবং রাতে গণিত ও মানসিক দক্ষতা অনুশীলন করুন। রুটিন মেনে চলাটাই আসল চ্যালেঞ্জ, তাই নিজেকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখুন।
দ্বিতীয়ত, সিলেবাস অনুযায়ী পড়ার কোনো বিকল্প নেই। অনেকেই বাজারের সব বই কিনে ফেলেন, কিন্তু এটা ঠিক না। প্রতিটা বিষয়ের জন্য একটা বা দুইটা ভালো বই যথেষ্ট। বাংলার জন্য নবম দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বই, ইংরেজির জন্য Cliffs TOEFL এবং সাধারণ জ্ঞানের জন্য আজকের বিশ্ব ও MP3 সিরিজ দেখতে পারেন। গণিতের জন্য অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির বোর্ড বই যথেষ্ট।
তৃতীয়ত, নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পড়লেই হবে না, নিজেকে যাচাই করতে হবে। ঢাকায় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্ট হয়, সেগুলোতে অংশ নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন app ও website এ অনলাইনে প্র্যাকটিস করার সুযোগ আছে। প্রতিটা মডেল টেস্টের পর ভুলগুলো খাতায় লিখে রাখুন এবং বারবার রিভিশন দিন।
চতুর্থত, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন। অনেকেই অতিরিক্ত চাপ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঝে মাঝে বিরতি নিন, পরিবারের সাথে সময় কাটান, হালকা ব্যায়াম করুন। মনে রাখবেন, একবারে না হলে আবার চেষ্টা করা যায়। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন এবং চেষ্টা চালিয়ে যান। আলহামদুলিল্লাহ, যারা ধৈর্য ধরে লেগে থাকেন তারা অবশ্যই সফল হন। সবার জন্য শুভকামনা রইলো 🤲
Top comments (4)
ভাই, প্রিলি আর রিটেনের জন্য কি আলাদা রুটিন করা উচিত নাকি একসাথে চালাবো?
আমার অভিজ্ঞতায় রুটিন ঠিক রাখতে পারলেই পড়াশোনার অর্ধেক চাপ কমে যায় ভাই, আলহামদুলিল্লাহ এভাবেই ধীরে ধীরে প্রস্তুতি জমে ওঠে। ইনশাআল্লাহ আপনার টিপস অনেকের কাজে লাগবে।
হাহা ভাই, ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পড়ার কথা শুনলেই আমার ঘুম এসে যায়, ইনশাআল্লাহ এবার চেষ্টা করব ঘুমের সাথে একটু পড়াও মেলাতে।
আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ২০১০-১১ এর ক্র্যাশের পর যারা ধৈর্য ধরে থাকতে পেরেছিল তারাই শেষ পর্যন্ত ভালো করেছে, তাই নতুনদের বলব প্যানিক সেল করবেন না ভাই।