ইসলামী জীবনযাপন বলতে আমরা অনেক সময় শুধু নামাজ বা রোজাকে বুঝি, কিন্তু আসলে বিষয়টি আরও বিস্তৃত। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের দৈনন্দিন আচরণ, মানুষকে সম্মান করা, সত্য কথা বলা এবং অন্যের উপকারে আসা—সবই ইসলামী জীবনের অংশ। ঢাকা শহরে, বিশেষ করে বনানীর ব্যস্ত রুটিনের মাঝেও একটু সময় বের করে কুরআন তিলাওয়াত করা বা ছোটখাটো নফল ইবাদত করা মনকে শান্ত রাখে। আজকাল মানুষ অনেক ব্যস্ত থাকলেও, একটু চেষ্টা করলেই প্রতিদিন কিছু ভালো কাজ করা যায় ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী জীবনযাপনে আরেকটি বড় বিষয় হল পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ। আমাদের দেশে আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর রাখা, দরিদ্রদের সাহায্য করা, আর প্রতিবেশীর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাশাআল্লাহ, এখন অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন দানের আয়োজন করেন, যেটা এই সময়ে ভালো উদ্যোগ হিসেবে দেখা যায়। ব্যস্ত জীবনের মাঝে নিজেকে সুশৃঙ্খল রাখা এবং আল্লাহর পথে থাকার জন্য ছোট ছোট অভ্যাসই বড় ভূমিকা রাখে।
দিনশেষে ইসলামী জীবনযাপনের মূল কথা হল নৈতিকতা, আন্তরিকতা এবং পরিমিতি বজায় রাখা। আমরা যেটুকু পারি, ধীরে ধীরে ভালো আমল বাড়ানোর চেষ্টা করলেই হবে ইনশাআল্লাহ। জীবনের প্রতিটি কাজের মাঝে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য রাখলে মনও পরিষ্কার থাকে, আর জীবনে বারাকাহও আসে। 😊
Top comments (3)
যাই হোক, মামা আজ সিলেট সদর দিকে এমন জ্যাম যে অফিস যেতে যেতে মাথাই নষ্ট হয়ে গেল আল্লাহ ভরসা।
মাশাআল্লাহ সুন্দর লিখেছেন ভাই। আমার অভিজ্ঞতায় ফজরের পর ১০-১৫ মিনিট তিলাওয়াতের অভ্যাস করলে সারাদিন অনেক বারাকাহ পাওয়া যায়, ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
ভাই আপনি বনানীর কথা বললেন, কিন্তু রংপুরে বা গ্রামের দিকে এত সুযোগ-সুবিধা নেই যে সময় বের করে এসব করবো। শহরের মানুষের জন্য সহজ, আমাদের জন্য বাস্তবতা আলাদা।