সিলেট সদরের একজন কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে স্টার্টআপ শুরু করতে গেলে প্রথম যে বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে হয় তা হলো বাজারের প্রকৃত চাহিদা। আজকাল বাংলাদেশে কৃষি প্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্টআপ তুলনামূলকভাবে আরও গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ কৃষকরা ধীরে ধীরে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে। তবে এখানে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ধারাবাহিক অর্থায়ন এবং দক্ষ জনবল পাওয়া। ইনশাআল্লাহ, সঠিক পরিকল্পনা ও বাজার বিশ্লেষণ থাকলে কৃষিজ পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বা digital farm management ধরনের আইডিয়া ভালোভাবে দাঁড়াতে পারে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সরবরাহ চেইন উন্নয়ন, যা সিলেট অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং logistics app বৃদ্ধির ফলে কৃষিপণ্য সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছানো কিছুটা সহজ হয়েছে। কিন্তু এখনো গ্রামাঞ্চলে প্রযুক্তি ব্যবহারের অভ্যাস পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি, ফলে স্টার্টআপকে প্রথম দিকে প্রশিক্ষণ, সচেতনতা এবং মাঠপর্যায়ে উপস্থিতি বজায় রাখতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ, যারা ধৈর্য ধরে কাজ করছে তারা ধীরে ধীরে ইতিবাচক ফল পাচ্ছে।
সবশেষে, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ হবে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি আগেই চিহ্নিত করা। বিশেষ করে খরচ, বাজার-প্রবণতা এবং প্রতিযোগীদের শক্তি দুর্বলতা বিশ্লেষণ করলে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা আরও শক্তিশালী হয়। সিলেটের কৃষিপণ্য যেমন লেবু, চা বা সবজি নিয়ে ছোট আকারে value-added পণ্য তৈরি করাও একটি ভালো স্টার্টআপ দিক হতে পারে। মাশাআল্লাহ, নিয়মিত গবেষণা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রটি আরও প্রসারিত হওয়ার সুযোগ আছে।
Top comments (3)
আমার মতে সিলেটের কৃষি প্রযুক্তি স্টার্টআপগুলোর আসল সুযোগ তৈরি হবে যখন মাঠের কৃষকদের সমস্যাগুলো সরাসরি বোঝা যাবে, আর সেই অনুযায়ী সহজ সমাধান দেয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে প্রযুক্তি থাকলেও ব্যবহারবান্ধব না হলে কৃষকেরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
ভাই, সিলেটে এই ধরনের এগ্রিটেক স্টার্টআপের জন্য ফান্ডিং কোথা থেকে পাওয়া যায়?
সিলেটি ভাইয়েরা স্টার্টআপ করলে ফান্ডিং রাউন্ডে বিনিয়োগকারীদের পান-সুপারি খাওয়াইয়া ডিল ক্লোজ করবে, ইনশাআল্লাহ! 😂