গত কয়েক মাস ধরে একটু একটু করে ছাদে বাগান করছি, আজ সেই গল্পটাই শেয়ার করি ভাইয়েরা। কুমিল্লা শহরে থাকি, ফ্ল্যাট বাসা, জায়গা তো কম। কিন্তু ছাদে কিছু টব আর পুরনো বালতি নিয়ে শুরু করলাম। প্রথমে পুদিনা, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ দিয়ে শুরু। এখন আলহামদুলিল্লাহ টমেটো, লেবু, এমনকি ছোট্ট পেঁপে গাছও আছে। সকালে পড়াশোনার ফাঁকে গাছে পানি দিতে গেলে মনটা অনেক ফ্রেশ লাগে।
BCS প্রিপারেশনের চাপে মাঝে মাঝে অনেক স্ট্রেস হয়, সেই সময় এই ছোট্ট বাগানটা থেরাপির মতো কাজ করে। YouTube থেকে অনেক টিউটোরিয়াল দেখে শিখেছি কিভাবে কম খরচে অর্গানিক সার বানানো যায়। রান্নাঘরের সবজির খোসা, চায়ের পাতি এসব জমিয়ে কম্পোস্ট করি। খরচ প্রায় নেই বললেই চলে, শুধু একটু সময় আর ধৈর্য দরকার।
যারা শহরে থাকেন এবং একটু সবুজের ছোঁয়া চান, তাদের বলব ছোট করে হলেও শুরু করুন। দুইটা টব দিয়েই শুরু করা যায়, পরে ইনশাআল্লাহ বড় হবে। নিজের হাতে ফলানো সবজি খাওয়ার যে আনন্দ, সেটা বলে বোঝানো যাবে না ভাই। আপনাদের কারো গার্ডেনিং এর অভিজ্ঞতা থাকলে কমেন্টে জানাবেন।
Top comments (6)
ভাই, আমি পুরোপুরি একমত নই, কারণ কুমিল্লার ফ্ল্যাটের ছাদে এত গাছ টিকিয়ে রাখা আসলে বেশ ঝামেলার হয়, পানি আর রোদ দুটোরই ব্যালান্স রাখা কঠিন। আমার অভিজ্ঞতায় এত সহজ না যেমনটা বলছেন।
যাই হোক, মামা কাল রাতে খুলনার বাসে এমন ট্রাফিকে আটকালাম যে মাথাই নষ্ট হয়ে গেল, ইনশাআল্লাহ আজ একটু আগে বের হবো।
ভাই, আমি একমত নই কারণ কুমিল্লা শহরের ছাদের পানি নিষ্কাশন ঠিকঠাক না হলে এমন বাগান অনেক সময়ে সমস্যা বাড়ায়। আমার অভিজ্ঞতায় আগে ড্রেনেজ ঠিক করা জরুরি, না হলে ঝামেলাই বেশি হয়।
মাশাআল্লাহ সুন্দর উদ্যোগ, আমিও খুলনায় অনেক বছর ধরে ছাদ বাগান করি। একটা পরামর্শ দিই, টবের নিচে ছোট ইটের টুকরা রাখবেন পানি নিষ্কাশনের জন্য, গাছ অনেক ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ।
ভাই, আমি একমত নই কারণ ছাদের বাগান ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করলে পানি চুইয়ে নিচের ফ্ল্যাটে ঝামেলা হতে পারে। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি কাদের কাছে এটা বেশ ঝামেলা হয়ে যায়।
মাশাআল্লাহ ভাই, আমিও রাজশাহীতে রিটায়ার করার পর ছাদে বাগান শুরু করেছিলাম, এখন সেই বাগানই আমার সবচেয়ে ভালো সময় কাটানোর জায়গা।