বাংলাদেশে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসার প্রসার দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় এখন অনেক তরুণ উদ্যোক্তা নিজেদের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসা খাতে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ব্যাপক আলোচনা বাড়লেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এখনই সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে পারলে আগামী কয়েক বছরে এই খাত আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করবে ইনশাআল্লাহ। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন চালিয়ে এখন হাজারো ছোট ব্যবসা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে।
অনেক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, আগের মতো শুধু দোকানভিত্তিক বিক্রি এখন আর যথেষ্ট নয়। বরিশালের অনলাইন বিক্রেতারা বলছেন, ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করার পর তাদের অর্ডারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। একজন পোশাক ব্যবসায়ী জানান যে, তিনি পণ্যের সুন্দর ছবি তুলতে শিখে ফেসবুক পেইজে পোস্ট করার পর ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। পেইড প্রচারণা ব্যবহার করলে টার্গেটেড কাস্টমারে পৌঁছানো আরও সহজ হয়, যা ছোট ব্যবসার জন্য বড় সুবিধা।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে, অনেকেই বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করছেন, যা ক্রেতাদের কাছে অনলাইন কেনাকাটা আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলছে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার ও অ্যানালিটিক্স টুল ব্যবহার করেও ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারছেন কোন ধরনের কন্টেন্ট বেশি কার্যকর হচ্ছে। একাধিক উদ্যোক্তা বলছেন যে, তারা এখন আর শুধু প্রচার নয়, বরং গ্রাহকের আচরণ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করছেন। এতে করে খরচ কমে এবং ফলাফল আরও ভালো আসে।
আমি নিজেও অনলাইন সেলিং করি, আলহামদুলিল্লাহ বরিশাল থেকে সারাদেশে পণ্য পাঠাই। প্রথমদিকে প্রচার নিয়ে বেশ কষ্ট হচ্ছিল, কিন্তু নিয়মিত পোস্ট, গ্রাহকদের সাথে দ্রুত যোগাযোগ আর সঠিকভাবে পেইজ ম্যানেজ করার মাধ্যমে এখন অর্ডার অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে ফেসবুকের বুস্ট অপশন ব্যবহার করলে পণ্যের রিচ দ্রুত বাড়ে, যা নতুন ব্যবসার জন্য দারুণ সহায়ক। তবে খেয়াল রাখতে হয় যাতে অযথা টাকা খরচ না হয় এবং বিজ্ঞাপনটি সঠিক গ্রুপের মানুষের কাছে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল মার্কেটিং এখন আর শুধু বড় প্রতিষ্ঠানের বিষয় নয়। যে কেউ চাইলেই ছোট বাজেটে কার্যকর প্রচারণা চালাতে পারে। তাই ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের পরামর্শ হচ্ছে, এখনই অনলাইন উপস্থিতি শক্ত করুন, নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং গ্রাহকদের সাথে বিশ্বস্ত সম্পর্ক গড়ে তুলুন। সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্য ধরে কাজ করলে ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ডিজিটাল বাজার আরও বড় হবে।
Top comments (4)
jai hok, ajke Rajshahi te eto gorom portese je matha ki shorir konotaai thik lagse na bhai.
আমার অভিজ্ঞতায় ফজরের পর ৩০ মিনিট পড়াশোনা করলে মাথায় অনেক ভালো ঢোকে, তারপর বাকি সময় নামাজের ফাঁকে ফাঁকে ভাগ করে নিলে দুইটাই হয় ইনশাআল্লাহ।
Hahaha mama ami o HSC time e study ar worship balance korte giye mathay calculator lagaitam, but chinta koira laav nai bhai, niyat thik thakle Allah sob easy kore dibe inshaAllah.
আমি একমত নই ভাই, কারণ স্টাডি আর ইবাদতকে আলাদা কিছু ভাবলে বরং বেশি চাপ তৈরি হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে পড়াশোনা করলেও সেটা ইবাদতেরই অংশ হয়ে যায় ইনশাআল্লাহ।