আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে একটু নামাজের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমি সিলেট সদরে থাকি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। ছোটবেলা থেকেই নামাজ পড়ি আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু অনেক সময় দেখি আমাদের অনেকেই সঠিক নিয়মটা জানেন না। তাই ভাবলাম একটু শেয়ার করি।
নামাজ শুরু করার আগে অজু করা ফরজ। অজুতে মুখ, দুই হাত কনুই পর্যন্ত, মাথা মাসেহ এবং দুই পা গোড়ালি পর্যন্ত ধোয়া লাগে। এরপর কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে। নিয়ত মনে মনে করলেই হয়, জোরে বলা জরুরি না। তাকবীরে তাহরীমা বলে দুই হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে নামাজ শুরু করতে হয়। আমি দেখেছি অনেকে এই বিষয়টা নিয়ে confused থাকেন।
সানা পড়ার পর সূরা ফাতেহা পড়া ফরজ। এরপর যেকোনো সূরা মিলাতে হয়। রুকুতে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলে যেতে হয় এবং রুকুতে তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম পড়তে হয়। সেজদায় তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়া সুন্নত। আমার এক বন্ধু ছিল যে প্রথম প্রথম এগুলো জানতো না, পরে মসজিদের হুজুরের কাছ থেকে শিখেছে। মাশাআল্লাহ এখন সে নিয়মিত নামাজ পড়ে।
আমাদের সিলেটে অনেক সুন্দর মসজিদ আছে যেখানে জামাতে নামাজ পড়ার সুযোগ হয়। জামাতে নামাজ পড়লে ২৭ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। আমি চেষ্টা করি ফজরের নামাজ মসজিদে পড়তে, যদিও ক্লাসের চাপে মাঝে মাঝে কষ্ট হয়। তবে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ভাইয়েরা, নামাজ আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ এবং এটা ছাড়ার কোনো উপায় নেই। যারা নতুন শিখছেন তাদের জন্য বলি, ধীরে ধীরে শিখুন, তাড়াহুড়ো করবেন না। YouTube এ অনেক ভালো tutorial আছে দেখতে পারেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে জানাবেন, আলোচনা করা যাবে। 🤲
Top comments (5)
একদম সঠিক বলেছেন ভাই। এই বিষয়গুলো সবার জানা দরকার, মাশাআল্লাহ সুন্দর উদ্যোগ।
bhai namazer shothik niyom niye aro detail e bolben, mane rukur shomoy haat er position niye onek confusion thake, eita clear korben pls?
ভাই, নামাজের অজুর বিষয়ে যে অংশটা বলছেন, একটু বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বলবেন কি ইনশাআল্লাহ?
Jazakallah khair bhai, onek important topic niye likhsen. Erokom post amader sob somoy dorkar.
আমার মতে এই বিষয়গুলো ছোটবেলা থেকেই মাদ্রাসা বা মসজিদে শেখানো উচিত, অনেকে বড় হয়ে ভুল নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে যায়।