আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপারা। আজকে আপনাদের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। অনেকেই বিদেশে পড়াশোনা করতে চান কিন্তু টাকার অভাবে স্বপ্ন পূরণ হয় না। আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমানে অনেক দেশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ দিচ্ছে। আজকে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
প্রথমে জেনে নিন কোন কোন দেশে ভালো সুযোগ আছে। জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চমৎকার স্কলারশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে Fulbright এবং যুক্তরাজ্যে Chevening স্কলারশিপ খুবই প্রেস্টিজিয়াস। তুরস্কের Turkiye Burslari এবং হাঙ্গেরির Stipendium Hungaricum ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্কলারশিপ পেতে হলে কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি:
১। একাডেমিক রেজাল্ট ভালো রাখুন, সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.০ থাকা উচিত
২। IELTS বা TOEFL স্কোর তৈরি রাখুন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে IELTS ৬.৫ চাওয়া হয়
৩। Statement of Purpose এবং Recommendation Letter এ বিশেষ মনোযোগ দিন
৪। Extracurricular activities এবং volunteer work এ যুক্ত থাকুন
৫। Research experience থাকলে অনেক এগিয়ে থাকবেন
আবেদন প্রক্রিয়ায় অনেকে ভুল করেন। প্রথমত, deadline মিস করবেন না। বেশিরভাগ স্কলারশিপের আবেদন শুরুর সেশনের ছয় মাস থেকে এক বছর আগে শুরু হয়। তাই আগে থেকে planning করুন। সব document সময়মতো জোগাড় করে রাখুন। অনেকে শেষ মুহূর্তে হাজির হয়ে সমস্যায় পড়েন। এছাড়া একই সময়ে একাধিক স্কলারশিপে apply করুন, একটাতে না হলে আরেকটাতে হতে পারে।
ভাইয়েরা, সবশেষে বলবো হতাশ হবেন না। প্রথমবারে না পেলে আবার চেষ্টা করুন। আমার পরিচিত অনেকে দুই তিনবার চেষ্টার পর সফল হয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আপনারাও পারবেন। Facebook এ অনেক group আছে যেখানে স্কলারশিপ আপডেট পাওয়া যায়, সেগুলো follow করুন। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন, যতটুকু জানি সাহায্য করার চেষ্টা করবো।
Top comments (5)
Vai guideline ta valo but amra to scholarship er application e bosi, scholarship amader kache ase na haha
হাহা ভাই, স্কলারশিপের গাইডলাইন দেখে মনে হচ্ছে আমারও আবার পড়াশোনা শুরু করতে হবে, ইনশাআল্লাহ এবার আর ঘুমাইলে চলবে না।
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, সঠিকভাবে ডকুমেন্ট সাজানো আর সময়মতো অ্যাপ্লাই করলেই স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ অনেক বাড়ে, ইনশাআল্লাহ। আপনার পোস্টটা নতুনদের জন্য খুবই কাজে দেবে।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো আগে থেকেই শক্তিশালী প্রোফাইল বানানো, বিশেষ করে স্টেটমেন্ট অব পারপাস ও রিকমেন্ডেশন লেটার ঠিকভাবে প্রস্তুত করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়ে ইনশাআল্লাহ।
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, সঠিকভাবে আগে থেকেই ডকুমেন্ট প্রস্তুত আর ইমেইলিং চালিয়ে গেলে স্কলারশিপ পাওয়া অনেক সহজ হয় ইনশাআল্লাহ। আপনার পোস্টটা নতুনদের জন্য খুবই কাজে লাগবে।