বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দ্রুত বাড়ছে। ২৯ আগস্ট ২০২৫ এর এই সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনভাবেই বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন হুমকি। বিশেষজ্ঞদের মতে এখন ব্যক্তিগত ডাটা সুরক্ষা, ব্যবসায়িক তথ্য নিরাপত্তা এবং সরকারি সিস্টেম রক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা নীতি শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিচ্ছে, যা সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রবণতা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, ঠিক সেভাবেই সচেতনতার প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী এমনকি সরকারি দপ্তর পর্যন্ত সবাইকে এখন নিয়মিতভাবে আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করা এবং সন্দেহজনক লিংক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন যে ভবিষ্যতে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির নিরাপত্তা রক্ষায় আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
মিরপুরে আমার এক পরিচিত ভাই আছেন যিনি একটি ছোট অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করেন। তিনি আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালোই এগোচ্ছেন, কিন্তু কয়েক মাস আগে তার ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লগইন চেষ্টা দেখা গেলে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। পরে একজন বিশেষজ্ঞের সহায়তায় তিনি দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেন এবং bKash ও ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহারে আরও সতর্ক হন। তার অভিজ্ঞতা দেখে আমি নিজেও আমার ডিভাইসগুলোতে নিরাপত্তা সেটিংস নিয়ে আরও সচেতন হয়েছি।
বাংলাদেশে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook, YouTube, Daraz এবং Pathao অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্যও নিরাপত্তা নীতি আরও কঠোর করা হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভুয়া তথ্য, ফিশিং লিংক এবং প্রতারণার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই এখন নিরাপদ ব্যবহারের নিয়ম শিখতে আগ্রহী। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে একদিকে সরকারি প্রচারণা, আরেকদিকে ব্যক্তিগত সচেতনতা এই সমন্বয় আগামী কয়েক বছরে দেশের সাইবার নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করবে ইনশাআল্লাহ।
সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা এখন শুধু প্রযুক্তি বিষয় নয়, বরং একটি সামাজিক দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিগত ডাটা থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের তথ্য সুরক্ষার জন্য সবারই কিছু না কিছু ভূমিকা রয়েছে। সচেতনতা বাড়লে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা সহজলভ্য হলে ভবিষ্যতে দেশ আরও নিরাপদ ডিজিটাল সমাজের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
Top comments (4)
ekdom thik kotha bhai, cyber security niye awareness barano ekhon khub dorkar, inshaaAllah sobai ektu careful hole situation improve hobe.
ভাই, বাংলাদেশে সাধারণ ব্যবহারকারীরা কীভাবে সহজে সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে পারে সেটা একটু বুঝিয়ে বলবেন ইনশাআল্লাহ?
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে এখনই সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি ইনশাআল্লাহ।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বেশিরভাগ মানুষ পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে একদম সচেতন না, এখান থেকেই শুরু করা উচিত।