গত সপ্তাহে উত্তরা থেকে সিলেট পর্যন্ত একটি ছোট ভ্রমণে গিয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ভ্রমণের আগে কিছু পরিকল্পনা মাথায় রেখেছিলাম যাতে পথিমধ্যে ঝামেলায় না পড়তে হয়। বাসে গেলে উত্তরা থেকে সরাসরি কাউন্টার পাওয়া যায়, আর যদি ট্রেনে যেতে চান তবে আগেভাগেই টিকিট কেটে রাখা ভালো। এখনকার দিনে অনলাইনে টিকিট নেওয়া বেশ সহজ, তাই চাইলে বাসা থেকেই সব ম্যানেজ করা যায়। ইনশাআল্লাহ যারা প্রথমবারের মতো সিলেট যেতে চান তাদের জন্য এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
সিলেট পৌঁছানোর পর প্রথমেই রিকশা নিয়ে চা বাগান এলাকায় চলে গিয়েছিলাম, মাশাআল্লাহ জায়গাটা এখনও শান্ত আর সবুজে ভরা। স্থানীয় গাইডরা বেশ সহায়ক, চাইলে স্বল্প খরচে ঘোরার পরিকল্পনা সাজিয়ে দিতে পারে। খাওয়ার জন্য হোটেল খুঁজতেও তেমন সমস্যা হয়নি, সিলেটের বিখ্যাত খাসির কালো ভুনা আর ভাত এখনো মুখে লেগে আছে। যারা পরিবার নিয়ে যাবেন তারা আগে থেকেই থাকার জায়গা ঠিক করে রাখলে আরও স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন। সামগ্রিকভাবে পুরো ট্যুরটা ছিল বেশ সহজ আর উপভোগ্য।
যদি কখনো আপনি সিলেট ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, ছোট্ট কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখলে পথটা আরও আরামদায়ক হবে। যেমন ভ্রমণ মৌসুমে টিকেট দ্রুত শেষ হয়ে যায়, তাই আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় খাবার চেখে দেখতে ভুলবেন না, আর প্রকৃতির ছবি তুলতে চাইলে সকালবেলা বের হওয়া উত্তম। ইনশাআল্লাহ আবার সুযোগ হলে সিলেট ঘুরে আসব, আরও নতুন জায়গা দেখার ইচ্ছে রয়ে গেছে। overall অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করলাম যেন আপনারাও উপকৃত হন।
Top comments (4)
darun likhsen bhai, Sylhet niye apnar experience ta pore khub bhalo laglo, inshaaAllah onno ra o upokrito hobe.
আমিও গত মাসে যশোর থেকে সিলেট গেছিলাম ট্রেনে, ইনশাআল্লাহ আবার যাবো কারণ জাফলং এর সৌন্দর্য ভুলতে পারছি না।
অন্য একটা কথা মনে পড়ল, মামা উত্তরা থেকে সিলেটে গেলে বাস কাউন্টারের পাশের সেই চায়ের দোকানের সিংগারা এখনো আগের মতোই মজাদার আছে কি না জানলে বলবেন।
দারুণ লাগল ভাই, খুব উপকারী তথ্য দিলেন মাশাআল্লাহ। ইনশাআল্লাহ আমিও শিগগির সিলেট গেলে অনেক কাজে লাগবে।