বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে, তাই পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমেই আপনি কোন ক্যাডার লক্ষ্য করছেন তা ঠিক করে একটি বাস্তবসম্মত স্টাডি প্ল্যান বানিয়ে নিন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করলে ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, আলহামদুলিল্লাহ এতে মনোযোগও বেশি থাকে। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান নিয়মিত রিভিশন করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ইনশাআল্লাহ এভাবে চললে মৌলিক বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এখনকার দিনে অনেকেই অনলাইন প্রস্তুতি প্ল্যাটফর্ম, YouTube লেকচার ও বিভিন্ন Facebook গ্রুপ থেকে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করেন। তবে মনে রাখবেন, অতিরিক্ত রিসোর্স ব্যবহার করলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে, তাই নির্দিষ্ট কিছু মানসম্মত বই ও নোটই অনুসরণ করা ভালো। গত বছরের প্রশ্নপত্র চর্চা করলে পরীক্ষার ধরন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। উত্তরা, ঢাকা বা যেকোনো এলাকার লাইব্রেরি বা স্টাডি গ্রুপে নিয়মিত বসলে পড়াশোনার পরিবেশ আরও ভালো থাকে। সময় ব্যবস্থাপনাও জরুরি, তাই প্রতিদিন মডেল টেস্ট দিয়ে নিজের অগ্রগতি যাচাই করুন।
সবশেষে, মানসিকভাবে শান্ত থাকা খুব জরুরি। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে পড়া মাথায় থাকে না, তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে হাঁটাহাঁটি বা চা খেয়ে মনটা ফ্রেশ রাখুন। পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থনও অনেক কাজে লাগে, মাশাআল্লাহ এতে অনুপ্রেরণা বাড়ে। পরিশ্রম, দোয়া এবং সঠিক পরিকল্পনা থাকলে ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবে। আপনার প্রস্তুতির জন্য আগাম শুভকামনা ভাই।
Top comments (5)
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ভাই, বিশেষ করে ধারাবাহিকতার ব্যাপারটা অনেকেই গুরুত্ব দেয় না, অথচ ইনশাআল্লাহ বিসিএসে টিকে থাকার জন্য এটিই সবচেয়ে বড় শক্তি। এটা ভাবার বিষয় যে পরিকল্পনা না থাকলে পরিশ্রমও ঠিকমতো ফল দেয় না।
Ami 41st BCS e administration e recommend hoisi, alhamdulillah daily 6 ghonta routine kore pora ta really kaje dise bhai.
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটাই আসল চাবিকাঠি। ইনশাআল্লাহ এই টিপসগুলো অনেকের কাজে আসবে।
ভাই, প্রিলিমিনারি আর রিটেনের জন্য আলাদা স্টাডি প্ল্যান করা উচিত নাকি একসাথে প্রিপারেশন নেওয়া ভালো?
ভাই, প্রিলিমিনারির জন্য কোন বইগুলো সবচেয়ে বেশি হেল্পফুল মনে হয়েছে আপনার?