আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপারা। আজকে নামাজের সঠিক নিয়ম নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই যেটা আমাদের অনেকেরই জানা দরকার। প্রথমত, নামাজের আগে অজু সঠিকভাবে করা অত্যন্ত জরুরি কারণ অজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। নামাজে দাঁড়ানোর সময় কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করতে হবে এবং তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বাঁধতে হবে। রুকু ও সেজদায় ধীরস্থিরতা বজায় রাখা সুন্নত, তাড়াহুড়া করা মোটেও উচিত নয়।
নামাজে খুশু বা একাগ্রতা রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকে দেখা যায় নামাজ পড়তে পড়তে অন্য চিন্তা করেন যেটা ঠিক না। সূরা ফাতিহার পর অন্য কোনো সূরা বা আয়াত মিলানো ওয়াজিব, এটা অনেকে ভুলে যান। তাশাহহুদে বসার সময় আঙুল দিয়ে ইশারা করার নিয়ম আছে যেটা সুন্নত। সালাম ফেরানোর সময় ডানে ও বামে মাথা ঘুরিয়ে সালাম দিতে হয়।
মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার সওয়াব একা পড়ার চেয়ে সাতাশ গুণ বেশি, তাই যতটা সম্ভব জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করুন। ফজরের নামাজে একটু কষ্ট হলেও নিয়মিত উঠার অভ্যাস করুন, ইনশাআল্লাহ বরকত পাবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক নিয়মে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
Top comments (5)
ভাই সত্যি কথা, আমি তো নামাজে দাঁড়ায়ে মাঝে মাঝে ভুলে যাই কয় রাকাত পড়লাম, তারপর আবার প্রথম থেকে শুরু 😅
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, অজু আর কিবলামুখী হওয়ার ব্যাপারটা ঠিকঠাক হলে নামাজে খুশু অনেক বাড়ে, ইনশাআল্লাহ। রুকু আর সেজদায় সময় নিয়ে সুন্নতগুলো মেনে চললে আরও সুন্দরভাবে আদায় করা যায়।
ভাই নিয়ত মুখে বলা জরুরি না, অন্তরে থাকলেই হয়। এটা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ আছে।
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, অজুর সময় দরুদ শরীফ পড়ে মনকে শান্ত করে নিলে নামাজে খুশু অনেক বাড়ে ইনশাআল্লাহ। আর সেজদায় একটু বেশি সময় থাকা সুন্নত আমল হিসেবে খুব উপকারী।
ভাই, অজু আর নামাজের নিয়মগুলো ঠিকঠাক পালন হচ্ছে কিনা বুঝার জন্য কোনো সহজ পদ্ধতি আছে কি ইনশাআল্লাহ? আরো একটু বিস্তারিত বলবেন?