আসসালামু আলাইকুম ভাই সবাইকে। আজকে একটু অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। আমি নিজে কৃষিকাজের সাথে জড়িত, তাই বাজার অর্থনীতির প্রভাব সরাসরি আমার জীবনে পড়ে। আজকাল দেখছি সবকিছুর দাম বাড়ছে, সার থেকে শুরু করে বীজ, সবকিছুতেই খরচ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের মতো ছোট কৃষকদের অনেক কষ্ট হচ্ছে সত্যি কথা বলতে।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান নিয়ে সবাই চিন্তিত। আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বাড়ছে, যেটা আমাদের উৎপাদন খরচেও প্রভাব ফেলছে। কৃষি যন্ত্রপাতি, জ্বালানি তেল, এসব কিছুর দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। আমি নিজে গত বছর একটা পাম্প কিনেছিলাম, এখন সেই একই পাম্পের দাম প্রায় দেড়গুণ হয়ে গেছে। এটা সত্যিই উদ্বেগজনক।
তবে আলহামদুলিল্লাহ কিছু ভালো দিকও আছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ এখনো মোটামুটি ভালো আছে বলে শুনছি। আমার এক আত্মীয় সৌদি আরবে থাকেন, তিনি বলছিলেন এখন বিকাশে টাকা পাঠাতে সুবিধা হচ্ছে। এছাড়া সরকার কৃষি খাতে কিছু ভর্তুকি দিচ্ছে, সেটাও একটু সাহায্য করছে আমাদের।
আমার মনে হয় এই মুহূর্তে আমাদের স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমদানি কমিয়ে দেশীয় পণ্যের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ালে দীর্ঘমেয়াদে লাভ হবে। আমি নিজে চেষ্টা করছি জৈব সার ব্যবহার করতে, যাতে বিদেশি রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরতা কমে। এতে খরচও কম হচ্ছে এবং ফসলের মানও ভালো থাকছে।
শেষ কথা হলো, এই কঠিন সময়ে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে চলতে হবে। ইনশাআল্লাহ পরিস্থিতি উন্নতি হবে। ভাইয়েরা যারা ব্যবসা বা কৃষিকাজ করেন, তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে ভালো লাগবে। আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি।
Top comments (5)
ভাই, সরকারি কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে দেখুন, ছোট কৃষকদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে সার পাওয়ার সুযোগ আছে। আমার অভিজ্ঞতায় স্থানীয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বললে অনেক সময় ভালো সমাধান পাওয়া যায়।
ভাই বাজারের অবস্থা এমন যে দাম শুনলে মনে হয় ফসল না দিয়ে সরাসরি কিডনি জমা দিতে হবে, হাহাহা আল্লাহ রহম করুন। 😂
ভাই, আপনার এলাকায় সরকারি ভর্তুকিতে সার পাওয়া যাচ্ছে কিনা জানতে চাইছিলাম?
ভাই, রাজশাহীতে আমরা যারা ব্যবসা করি তাদেরও একই অবস্থা, আপনার মতে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায় কি হতে পারে?
মামা, অনেক সুন্দরভাবে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ এমন আলোচনা আরো হোক, আমাদের মতো সাধারণদের উপকার হয়।