বলিউডে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বেশ জোরালোভাবে বইছে। ৩০ জুলাই ২০২৫ অনুযায়ী মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বড় বাজেটের পাশাপাশি ভিন্নধরনের গল্পভিত্তিক সিনেমার চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা বাড়ায় নির্মাতারা এখন আরও ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হচ্ছেন। এর ফলে দর্শকদের সামনে নতুন ধাঁচের কনটেন্ট আসছে এবং ইন্ডাস্ট্রিতে এক ধরনের স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, এই পরিবর্তন সিনেমাপ্রেমীদের জন্য বেশ আনন্দের খবর।
দর্শকদের একটা বড় অংশ এখন চরিত্রকেন্দ্রিক সিনেমা ও রিয়ালিস্টিক গল্পের প্রতি বেশি ঝুঁকছে। আমি নিজেও কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে আমাদের এলাকার এক বন্ধুর সাথে স্থানীয় সিনেমা হলে গিয়ে একটি বলিউড ছবি দেখলাম। মাশাআল্লাহ, হল পূর্ণ ছিল এবং দর্শকদের মাঝে উত্তেজনা চোখে পড়ার মতো। আগের মতো শুধু নাচ-গানের সিনেমা নয়, বরং সামাজিক ইস্যু বা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা ধাঁচের সিনেমা দেখেও মানুষ সমান আগ্রহ দেখাচ্ছে। এতে বোঝা যায় যে দর্শকের রুচিতে বেশ বড় পরিবর্তন এসেছে।
গত মাসে বাংলাদেশের নিজেদের সিনেমায় যেমন নতুন ধরনের পরীক্ষার ছাপ দেখা গেছে, বিশেষ করে গত মাসে মুক্তি পাওয়া তাণ্ডব সিনেমাটি দেশের প্রথম সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স হিসেবে আলোচনায় আসে, ঠিক তেমনি বলিউডেও নির্মাতারা ইউনিভার্স বা মাল্টি-ফিল্ম কানেকটেড স্টোরিলাইনে বিনিয়োগ বাড়াতে চাইছেন। অনেকেই বলছেন যে দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির সাফল্য দেখে বলিউড নতুনভাবে নিজেকে সাজানোর চেষ্টা করছে। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও বড় সব ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। উচ্চ বাজেটের ছবি প্রত্যাশামতো ব্যবসা না করলে প্রযোজকরা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ে যান। সম্প্রতি বলিউডে কয়েকটি বড় বাজেটের ছবি প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে পারেনি, যার ফলে প্রযোজকরা অনেক হিসাব-নিকাশ করে সিনেমা বানাতে আগ্রহী। অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের পরিচালকরা কম বাজেটে ভালো গল্প বলার চেষ্টা করছেন এবং সেগুলো বক্স অফিস ও ওটিটি উভয় ক্ষেত্রেই ভালো সাড়া পাচ্ছে। এতে করে ইন্ডাস্ট্রিতে একদিকে যেমন নতুন রক্ত আসছে, অন্যদিকে দর্শকরাও নতুন ধরনের গল্প পাচ্ছেন।
সব মিলিয়ে বলিউড এখন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই পরিবর্তন ইতিবাচক। আমার মতো অনেক সিনেমাপ্রেমীই আশা করছেন যে আগামী কয়েক মাসে আরও শক্তিশালী স্ক্রিপ্ট, পরীক্ষামূলক সিনেমা এবং মানসম্পন্ন বিনোদন দর্শকদের সামনে আসবে। ইনশাআল্লাহ, বলিউড আবারও তার হারানো জৌলুস ফিরে পাবে এবং আমাদের মতো বাংলাদেশি দর্শকরাও এর ফলভোগ করবে।
Top comments (5)
আমার ছেলে গত মাসে একটা ওটিটি সিরিজ দেখাল, সত্যি বলতে এত ভালো গল্প বলিউডের বড় বাজেটের সিনেমায় পাই না আজকাল।
আর ভাই, বলিউডের এসব ফালতু ট্রেন্ড দেখে এখনো কেউ উচ্ছ্বাস পায় কেমন করে বুঝি না, সবই একশেষ বস্তাপচা জিনিস। সত্যি বললে এসব দেখে মাথা গরম ছাড়া আর কিছুই লাগে না।
আমিও প্রবাসে থেকে দেখছি স্ট্রিমিং এ এখন অনেক ভালো কন্টেন্ট আসছে, আগে তো শুধু বড় বাজেটের ছবিই পেতাম।
ভাই, আমি একমত নই, কারণ বলিউডে এই কথিত পরিবর্তনটা শুধু প্রচারণা মনে হচ্ছে, বাস্তবে বেশিরভাগই একই ফর্মুলা মুভি চলছে। দর্শকদের আগ্রহ নাকি বদলে গেছে বলা হলেও ফলাফলে তেমন কিছু দেখা যায় না।
নতুন ট্রেন্ড আসুক আর যাক, সালমান ভাই তো শার্ট ছাড়াই থাকবেন 😂