১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর বাস্তবতা অনুযায়ী এখন বাংলাদেশে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক ভাই প্রবাসে কাজ করেন, আবার দেশের ভেতরেও চাকরি বাজার বেশ প্রতিযোগিতামূলক। তাই শুরুতেই নিজের আগ্রহ, দক্ষতা এবং বাজারের চাহিদা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা খুব জরুরি। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যারা অল্প বয়স থেকে নিজেদের লক্ষ্য ঠিক করে সামনে এগোয়, তারা খুব দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং বিভ্রান্ত হয় না।
বর্তমানে প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা এবং সৃজনশীল খাতে ভালো সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে সফটওয়্যার, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডেটা অ্যানালাইসিস বা গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো স্কিলগুলোর চাহিদা বেশ স্থিরভাবে বাড়ছে। আবার বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রেও নতুন আধুনিক পদ্ধতি শেখার সুযোগ আছে। অনেক প্রবাসী ভাই দেশে ফিরে স্মার্ট কৃষি বা অ্যাগ্রো বিজনেস শুরু করে সফল হচ্ছেন, মাশাআল্লাহ। তাই আপনি যে ক্ষেত্রেই যেতে চান, বাজারে তার ভবিষ্যৎ আছে কি না তা দেখে পরিকল্পনা করা দরকার।
আমি যখন প্রথম ক্যারিয়ার প্ল্যান করি, তখনই বুঝেছিলাম যে শুধু সার্টিফিকেট থাকলেই হয় না, বাস্তব দক্ষতা খুব বড় ভূমিকা রাখে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমার এক বন্ধু ঢাকার মিরপুরে থাকেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শেষে বেকার ছিলেন, কিন্তু পরে অনলাইনে স্বল্প খরচে কোর্স করে সফটওয়্যার টেস্টিং শিখলেন। এখন তিনি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে রিমোট কাজ করছেন এবং আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আয় করছেন। এই ধরনের স্কিলভিত্তিক পথ এখন বাংলাদেশে তরুণদের জন্য নতুন দরজা খুলছে।
ক্যারিয়ার গাইডেন্স নিতে গেলে Mentor বা অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নেওয়া খুব উপকারী। কেউ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র, শিক্ষক বা অনলাইনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। অনেক সময় ছোট একটি পরামর্শই বড় পরিবর্তন আনে। একই সঙ্গে নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াও জরুরি। নিয়মিত পড়াশোনা, অনুশীলন এবং নিজের উন্নয়নে বিনিয়োগ করলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফল পাওয়া যায়।
শেষ কথা হলো, ক্যারিয়ার শুধু চাকরি পাওয়ার বিষয় নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে আপনি কেমন জীবন চান তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া। তাই তাড়াহুড়া না করে নিজের সম্ভাবনা, পরিবারিক দায়িত্ব, আর বাজারের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে পথ ঠিক করুন। আল্লাহ আপনাদের সবার জন্য ভালো রাস্তা খুলে দিন, আমীন।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, বাজারের চাহিদা ঠিকমতো না বুঝে স্কিল শেখার কারণে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়েছি, তাই পোস্টের কথা সত্যি কাজে লাগে ইনশাআল্লাহ।
ভাই, ফ্রিল্যান্সিং নাকি সরকারি চাকরি কোনটা এখন বেশি ভালো অপশন বলে মনে করেন?
Bhai, freelancing ar traditional job er moddhe ekhon konta te beshi scope ache bole mone hoy apnar?
Bhai, fresher der jonno ki government job naki private sector e jaoa beshi bhalo hobe ekhonkar market e?
আমার মতে স্কিল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি নেটওয়ার্কিংটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ, অনেকে এই জায়গায় পিছিয়ে থাকে।