Banglanet

তিশা শেখ
তিশা শেখ

Posted on

সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং আমাদের জীবনে এর প্রভাব

বিজ্ঞান সব সময় মানবজীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় শক্তিগুলোর একটি, এবং ২০২৫ সালের এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা দেখছি আরও দ্রুত অগ্রগতি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধরনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হচ্ছে, তা শুধু তত্ত্বে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাস্তব জীবনেও আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারকে বদলে দিচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ, প্রযুক্তি এখন এমন পর্যায়ে এসেছে যেখানে সাধারণ মানুষও এসব আবিষ্কারের সুবিধা খুব সহজেই পাচ্ছে। বিশেষ করে রংপুরের মতো শহরেও এখন অনেক তরুণ গবেষণাপ্রবণ হয়ে উঠছে, যা দেখে সত্যি ভালো লাগে।

উদাহরণ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার কথা বলা যায়। কয়েক বছর আগেও যেসব কাজ শুধু বড় বড় ল্যাবে সম্ভব ছিল, এখন সেগুলো বাড়ির কম্পিউটার বা ক্লাউড সার্ভিসেই করা সম্ভব হচ্ছে। সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে আমিও এটা প্রতিদিন অনুভব করি। আগে যে অ্যালগরিদম ট্রেনিং করতে কয়েক দিন লেগে যেত, এখন তা কয়েক ঘণ্টায় হয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ, কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি আরও সুলভ হবে। রংপুরে বসে আমি যেসব প্রজেক্টে কাজ করি, সেগুলো কখনও ভাবিনি এত দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে।

পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানে কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এখন বিভিন্ন জিনগত রোগ শনাক্তকরণে আগের তুলনায় আরও নির্ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। যদিও আমি সরাসরি চিকিৎসা গবেষণার সঙ্গে জড়িত নই, তবে আমার এক আত্মীয় ঢাকা মেডিকেলে কাজ করেন। তাঁর কাছ থেকে শুনেছি এখন ল্যাব টেস্টগুলো আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। এসব উন্নতি আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে যেখানে উন্নত সেবা সব সময় পাওয়া কঠিন।

অবশ্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মানে শুধু ল্যাবের ভেতরের বিষয় নয়। কৃষি প্রযুক্তিতেও এখন প্রচুর পরিবর্তন এসেছে। রংপুর অঞ্চলে ধান ও আলুর উৎপাদনে নতুন ধরনের সেচব্যবস্থা ও সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে এক স্থানীয় খামারিতে গিয়ে দেখলাম তিনি স্মার্টফোন অ্যাপ দিয়ে মাঠের আর্দ্রতা মাপছেন। মাশাআল্লাহ, এই ধরনের উদ্ভাবন কৃষকদের সময় ও খরচ দুটোই কমিয়ে দিচ্ছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এটি একটি বড় ইতিবাচক পরিবর্তন।

সবশেষে বলতে হয়, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কেবল গবেষকদের জন্য নয়, আমাদের সবার জীবনের অংশ। প্রতিদিন যেসব প্রযুক্তির সুবিধা আমরা ব্যবহার করি, তা কোনো একসময় কারও গবেষণার ফল ছিল। তাই আমাদের উচিত বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী থাকা এবং নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও বড় বড় আবিষ্কার হবে, আর আমরা সবাই তার সুফল পাব। একটু চেষ্টা করলে আমরাও এই অগ্রগতির অংশ হতে পারি, রংপুরের মতো শহর থেকেও।

Top comments (0)