Banglanet

Tisha Parbheen
Tisha Parbheen

Posted on

সহজে ওজন কমানোর কিছু কার্যকর অভ্যাস

রাজশাহী সিটির ব্যস্ত জীবনেও নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। আমি নিজেও হাসপাতালের শিফটে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি নিয়মিত খাবার ও ঘুমের সময় ঠিক রাখা বেশ ঝামেলার বিষয়। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ, গত কয়েক বছরে কিছু অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে নিজের ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আজ ২৫ জুন ২০২৫ এর এই গরমের দিনে ভেবে দেখলাম আপনারাদের সঙ্গে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, ইনশাআল্লাহ কাজে লাগতে পারে।

প্রথমত, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস সত্যিই অনেক উপকারী। আমি সাধারণত ভোরবেলা পদ্মার ধারের দিকে আধা ঘণ্টা হাঁটি। এতে শুধু ক্যালোরি কমে না, মনও ভালো থাকে। যারা খুব ব্যস্ত, তারাও প্রতিদিন কমপক্ষে পনেরো থেকে বিশ মিনিট দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করতে পারেন। ছোট ছোট এই পরিবর্তনগুলো কয়েক সপ্তাহ পরেই ফল দিতে শুরু করে।

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে খাবারের নিয়ন্ত্রণ। আমাদের দেশে বিরিয়ানি, খিচুড়ি, পরোটা এগুলো না খেয়ে থাকা কঠিন, বিশেষ করে ডিউটির পর খুব ক্ষুধা লাগে। আমি চেষ্টা করি পরোটা ভাজার বদলে রুটি খেতে এবং ভাজাপোড়া কমাতে। দুপুরের খাবারে এক প্লেট ভাতের অর্ধেক বাদ দিয়ে বাড়তি সবজি খেলে পেট ভরেও থাকে এবং ক্যালোরিও কম হয়। পানি বেশি খাওয়ার অভ্যাসও ওজন কমাতে সাহায্য করে, কারণ এতে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

আরেকটি টিপস হচ্ছে ঘুম ঠিক রাখা। রাত জাগা কিংবা অল্প ঘুম দুটোই শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, ফলে ক্ষুধা বেড়ে যায়। আমি নিজে চেষ্টা করি প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমাতে। হাসপাতালের অনিয়মিত শিডিউল থাকলেও সময় পেলেই বিশ্রাম নিই, এতে শরীর অনেকটা ফ্রেশ থাকে।

সবশেষে, ওজন কমানো কোনো তড়িঘড়ি করা বিষয় না। ধীরে ধীরে অভ্যাস বদলানোই আসল। নিজের প্রতি ধৈর্যশীল থাকুন এবং ছোট সাফল্যেও আলহামদুলিল্লাহ বলতে ভুলবেন না। ইনশাআল্লাহ নিয়ম মেনে চললে আপনিও সুস্থ ও ফিট থাকতে পারবেন। ছোট ছোট পরিবর্তনই বড় ফল নিয়ে আসে, এটা আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই শিখেছি।

Top comments (0)