২৩ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রটি ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে, আর সাম্প্রতিক কিছু আবিষ্কার বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি প্রযুক্তি নিয়ে এখন প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। গবেষকরা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতেই এসব উন্নয়ন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ, নিরাপদ এবং কার্যকর করে তুলবে ইনশাআল্লাহ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সম্প্রতি যে কাজগুলো হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে উন্নতমানের ভাষা অনুবাদ ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের নতুন সফটওয়্যার। আমি নিজেও মধ্যপ্রাচ্যে কাজের সুবাদে প্রতিদিনই বিভিন্ন ভাষার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আগের তুলনায় এখন এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ভুল কম হয় এবং কথোপকথন অনেক সহজ লাগে। আমার এক সহকর্মী মাশাআল্লাহ একটি স্বাস্থ্য নিরীক্ষা অ্যাপ ব্যবহার করে সম্প্রতি তার রুটিন চেকআপ করিয়েছিলেন। অ্যাপটি আগাম সতর্কতা দেখিয়ে তাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে পরামর্শ দেয়। সেই অভিজ্ঞতা দেখে বেশ আশ্বস্ত লেগেছে।
এদিকে পরিবেশ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির গবেষণায়ও নতুন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে সৌরশক্তি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন উপাদান ব্যবহার নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন গবেষণাগারে কাজ চলছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরণের আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার চাপ কমাতে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর সৌর প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলে গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে বড় শহরগুলোর ব্যবহারকারী সবাই উপকৃত হবে। বিশেষত ময়মনসিংহ অঞ্চলে যেখানে প্রচুর খোলা জায়গা রয়েছে, সেখানে বড় আকারের সৌর প্রকল্প চালানোর সুযোগ আছে।
যেসব বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাগুলো নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করছেন তারা বলছেন, বাস্তবে সাধারণ মানুষের জীবনে এসব প্রযুক্তি পুরোপুরি আসতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে বর্তমান অগ্রগতির ধারা দেখে মনে হচ্ছে আগামী কয়েক বছরে অনেক বড় পরিবর্তন দেখা যাবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এসব আবিষ্কার যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, চিকিৎসা সুবিধার উন্নতি এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে বড় ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, বিজ্ঞান আমাদেরকে যে নতুন পথ দেখাচ্ছে তা ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক এবং ইতিবাচক।
Top comments (0)