বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন করে আলোচনার জোয়ার দেখা যাচ্ছে। ২৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ঢাকায় বিভিন্ন নীতি গবেষক ও সমাজকর্মীরা জানিয়েছেন যে আজকাল নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য দলগুলো নতুন কর্মসূচি নিয়ে ভাবছে। যদিও নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার উল্লেখ করা কঠিন, সামগ্রিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে নারী নেতৃত্বের বিষয়টি রাজনীতির মূলধারায় আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
ঢাকার মিরপুরে এক আলোচনা সভায় আমি নিজেই দেখেছি কীভাবে তরুণী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলছিলেন যে রাজনীতিতে অংশ নেওয়া এখন আগের তুলনায় কিছুটা সহজ মনে হচ্ছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী বলছিলেন যে তার পরিবার আগে রাজনীতিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবলেও এখন তারা তাকে উৎসাহ দিচ্ছে। মাশাআল্লাহ, এই পরিবর্তন আমাদের সমাজের মানসিকতায় ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে নারী ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোও নীতিনির্ধারণে আরও সংবেদনশীল হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিক্ষা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা কর্মক্ষেত্রে আগের তুলনায় অধিক সক্রিয়। এর প্রভাব রাজনীতিতেও পড়ছে। বহু নারী এখন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করছেন, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পথ তৈরি করে দিতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ, এই অগ্রগতি দেশের উন্নয়ন কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই আশা করা যায়। যদিও এখনো কাঠামোগত কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, যেমন নিরাপত্তা, সামাজিক চাপ এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, তবুও নারীদের দৃঢ় ভূমিকা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে।
আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে রাজনৈতিক আলোচনা, বিশেষ করে ঢাকা শহরের ক্যাফেগুলোতে কিংবা অনলাইন ফোরামে, এখন নারী নেতৃত্ব নিয়ে আরও পরিপক্ব ও বাস্তবভিত্তিক কথা বলা হচ্ছে। আগে যেখানে নারী ইস্যু গৌণ হিসেবে দেখা হত, সেখানে এখন নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটা একটি মূল বিষয় হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, ভবিষ্যতের বাংলাদেশে আরও বেশি নারী রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করবে এবং জাতীয় সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের কণ্ঠ আরও শক্তিশালী হবে।
Top comments (0)