ভাই ও আপুরা, আসসালামু আলাইকুম। আজ ১৯ জুলাই ২০২৫, এই সময়টাতে মনে হয় পরিবারে প্রেম-বিয়ে নিয়ে আগের চেয়ে একটু বেশি টানাপোড়েন দেখা যায়। আমি বরিশালের মানুষ, আইটি সাপোর্টে কাজ করি, আর অফিসের ব্যস্ততার মাঝেও পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবনের এই চাপগুলো মাথায় ঘুরতে থাকে। তাই ভাবলাম ফোরামে আপনাদের সাথে একটু খোলামেলা আলোচনা করি, যাতে অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যায়, আর কেউ হয়তো পরামর্শও দিতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
আমার এক আত্মীয়ের কথাই বলি। ছেলেটা একটা কোম্পানিতে চাকরি করে, মাশাআল্লাহ ভালোই চলছে। সে দীর্ঘদিন ধরে তার সহপাঠী এক মেয়েকে পছন্দ করত। দুইজনেরই সম্পর্ক বেশ স্থির, ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু পরিবারে বিষয়টা বলার পর শুরু হলো আসল সমস্যা। ছেলের মা-বাবা বললেন, তারা চান বিয়ে হোক আত্মীয়ের মধ্যেই। বিশেষ করে মা বললেন, "নিজের পরিবারের মেয়ে হলে ভরসা বেশি থাকে।" ছেলেটা বোঝানোর চেষ্টা করলো যে এখনকার দিনে সম্পর্কের বোঝাপড়া, মানসিক মিল এগুলোই আসল। কিন্তু পরিবার সেটা সহজভাবে নিল না।
এই ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশের অনেক পরিবারেই দেখা যায়। বিশেষ করে শহরের বাইরে বা ছোট শহরগুলোতে এখনো পরিবার নিজের পরিচিতির মধ্যেই সম্পর্ক করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আমি নিজেও অফিসে সহকর্মীদের কাছ থেকে একই ধরনের গল্প শুনি। কেউ প্রেম করে, আবার পরিবার রাজি হয় না। কেউ আবার পরিবার রাজি থাকলেও দুপক্ষের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ, আলোচনা বা বিয়ের ব্যবস্থা নিয়ে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি হয়। এসবের কারণে সম্পর্কের ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়, আর মানসিক চাপও বাড়ে। আলহামদুলিল্লাহ, অনেক পরিবার আবার পরিবর্তনও গ্রহণ করছে, তবে সেটা ধীরে ধীরে।
শেষে বলতে চাই, প্রেম-বিয়ে বিষয়টা কেবল দুইজন মানুষের নয়, দুই পরিবারকেও জড়িয়ে ফেলে। তাই সবার উচিত ধৈর্য ধরে কথা বলা এবং সমঝোতার পথ খোঁজা। পরিবারের আপত্তি থাকলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাও বুঝতে হবে, আবার পরিবারকেও সন্তানের পছন্দ-অপছন্দের মূল্য দিতে হবে। আমাদের সমাজে এই ভারসাম্যটাই সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। ইনশাআল্লাহ সময়ের সাথে সাথে আরও ভালো পরিবর্তন আসবে। ভাই-বোনেরা, আপনাদের কারও অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করেন, হয়তো অন্য কারও উপকার হবে। 😊
Top comments (0)