৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে পরিবেশবিষয়ক আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সমন্বিত প্রভাব। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, আকস্মিক বৃষ্টিপাত এবং বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই অনুভূতভাবে বাড়ছে। বিশেষত মিরপুরসহ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাতাসের গুণগতমান খারাপ হওয়ায় বাসিন্দাদের নানান শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিবেশবান্ধব নগর ব্যবস্থাপনা এখন অত্যন্ত জরুরি।
এই প্রেক্ষাপটে সরকার বিভিন্ন পুনর্বনায়ন কর্মসূচি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করার উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। যদিও এসব কর্মসূচির ফল পুরোপুরি পেতে সময় লাগবে, তবুও শহরে সবুজায়ন বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা কমানোর জন্য খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পরিবেশবিদরা বলছেন যে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে নগরের তাপমাত্রা কমানো এবং বায়ুদূষণ হ্রাস করা, যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পায়।
নিজের অভিজ্ঞতা হিসেবে বললে, আমি নিজে মিরপুরে চাকরিজনিত কারণে প্রতিদিনই সকাল সকাল বের হই, আর শীতের শুরুর এই সময়েও ধুলা ও ধোঁয়ার মিশ্রণে বাতাস ভারী লাগে। অফিসে পৌঁছানোর আগেই নাক ও গলায় জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়, বিশেষ করে ব্যস্ত সড়কগুলোতে। আলহামদুলিল্লাহ, মাস্ক ব্যবহার করলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়, কিন্তু স্থায়ী সমাধানের জন্য পরিবেশবান্ধব নীতি বাস্তবায়নই প্রকৃত সমাধান হবে।
অনেক গবেষক বর্তমানে ভবন নির্মাণে পরিবেশবান্ধব নকশা ও সৌরশক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। পাশাপাশি নাগরিক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়লে যেমন প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো বা বর্জ্য আলাদা করে ফেলার অভ্যাস গড়ে উঠবে, তেমনি নগর পরিবেশও ধীরে ধীরে উন্নত হবে ইনশাআল্লাহ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ও নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়নের পথ সুগম করবে।
সবশেষে বলা যায়, পরিবেশ রক্ষায় আজকের পদক্ষেপই আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করবে। মিরপুরসহ পুরো ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য রাখতে এখনই কার্যকর সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ জরুরি, নাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আরও বেড়ে যাবে।
Top comments (0)