উত্তরায় বড় হয়ে ওঠার কারণে স্থানীয় ক্রিকেট আমার জীবনের একদম কাছের বিষয়। ছোটবেলায় সেক্টর ৪ এর মাঠে যে টেপ-টেনিস ক্রিকেট খেলতাম, আজও সেই স্মৃতি মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। এখনও বিকেল নামলে এলাকায় Pathao ডেলিভারি ভাইয়েরা হেলমেট খুলে পাশের মাঠে একটু ব্যাট-বল নিয়ে নেমে পড়ে, মাশাআল্লাহ সেই উৎসাহটা দেখলে মনে হয় ক্রিকেট আমাদের রক্তেই মিশে আছে। এলাকায় প্রায় প্রতি শীতেই একটা না একটা টুর্নামেন্ট হয়, আর সেখানেই দেখা যায় নতুন ছেলেদের ব্যাটিং-বোলিং প্রতিভা। এসব দেখলে আলহামদুলিল্লাহ মনে হয়, দেশের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ ভালোই আছে।
তবে শুধু স্থানীয় পর্যায় নয়, জাতীয় পর্যায়ের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও আমাদের উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। গত সপ্তাহে বিপিএল ২০২৫ এর ফাইনাল নিয়ে পুরো উত্তরা ছিল গরম। ফর্চুন বরিশাল এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, আর গত সপ্তাহের সেই ম্যাচে তারা চট্টগ্রাম কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে। আমাদের চায়ের দোকানে ভাইয়েরা বলছিল যে এই জয় নতুন অনেক তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে। সত্যি বলতে কি, আপনি যখন দেখেন দেশের ক্রিকেট লিগে জোরদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে, তখন স্থানীয় ক্রিকেটাররাও নিজেদের আরও উন্নতি করতে চায়, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে এখান থেকেই আরও তারকা উঠবে।
এছাড়া সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের টি২০ সিরিজ জয়ও খুব আলোচিত ছিল। বাংলাদেশ ৩-০ তে সিরিজ জিতেছে, আর ওয়ানডে সিরিজে হারের পর এই টি২০ সাফল্য সবাইকে নতুন করে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। চায়ের দোকানে বসে এক ভাই বলছিলেন যে আমাদের এলাকায় যারা অলরাউন্ডার হতে চায়, তারা এখন এই সিরিজ দেখে আরও উজ্জীবিত হচ্ছে। বিশেষ করে ৮০ রানের জয়টা নিয়ে সবাই খুব আলোচনা করছিল, কারণ এই ধরনের পারফরম্যান্স তরুণদের শিখিয়ে দেয় কিভাবে চাপ সামলে দৃঢ়তা দেখাতে হয়।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, উত্তরা এলাকার স্থানীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোতে এখন আগের চেয়ে আরও বেশি দর্শক আসে। দুপুরে বিরিয়ানি খেয়ে বিকেলে সবাই মাঠে গিয়ে ম্যাচ দেখে, ছোট বাচ্চারা ফুচকা-চটপটি খেতে খেতে নিজেদের প্রিয় দলের জন্য চিয়ার করে। এসব দেখে মনে হয় ক্রিকেট আমাদের সামাজিক সম্পর্ক আরও শক্ত করে। ইনশাআল্লাহ, যদি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তবে খুব শিগগিরই উত্তরা থেকেই একদিন বড় মাপের ক্রিকেটার উঠে আসবে।
সব মিলিয়ে বলতে গেলে স্থানীয় ক্রিকেট আজ শুধু বিনোদন নয়, বরং আমাদের কমিউনিটির পরিচয়ের অংশ হয়ে গেছে। আপনি মাঠে গেলে দেখবেন, বড় ছোট সবাই একসঙ্গে খেলছে, আলোচনা করছে, নতুন পরিকল্পনা করছে। এই ঐক্যটাই সবচেয়ে বড় শক্তি। আলহামদুলিল্লাহ, উত্তরা তার ক্রিকেট সংস্কৃতি ধরে রেখেছে, আর সামনে আরও এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
Top comments (0)