শীতের সময় কাছে আসায় এখন ঢাকার বাতাসও একটু শুকনো লাগে, বিশেষ করে গুলশান এলাকায় ধুলাবালু বেড়ে গেলে ত্বক দ্রুত রুক্ষ হয়ে যায়। তাই একটি সহজ কিন্তু নিয়মিত স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলা খুবই জরুরি। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট সময় দিলেই ত্বকে একটা আলাদা সতেজভাব আসে মাশাআল্লাহ। অনেকেই ভাবেন স্কিনকেয়ার মানেই দামি প্রোডাক্ট, আসলে নিয়মিততা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম ধাপ হচ্ছে সঠিক ক্লেনজার ব্যবহার। সকালে ঘুম থেকে উঠে নরমাল বা জেল বেসড ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে রাতের ঘাম বা তেল সহজেই পরিষ্কার হয়ে যায়। মাঝে মাঝে দেখি গুলশানের ধুলোবালুর কারণে মুখে ছোট ছোট ব্রেকআউট হয়, তাই যতটা সম্ভব পারফিউম ফ্রি ক্লেনজার ব্যবহার করি। আলহামদুলিল্লাহ এতে ত্বকের ইরিটেশন কমে গেছে। অনেক ভাই বা আপুরাই প্রশ্ন করেন দিনে কয়বার মুখ ধোয়া উচিত। সাধারণত সকালে একবার আর রাতে স্কিনকেয়ারের আগে একবারই যথেষ্ট।
দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুব জরুরি। যেহেতু এখন দিনের বেলায় সূর্যের তাপ একটু কম, অনেকে ভুলে যান সানস্ক্রিন লাগাতে। কিন্তু ত্বক সুরক্ষার জন্য সানস্ক্রিন অপরিহার্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি যাতে হালকা সান প্রটেকশন থাকে, বাইরে বের হলে আলাদা সানস্ক্রিন লাগাই। গুলশান দুই নম্বর লেকের পাশে হাঁটতে গেলে সূর্যের আলোর প্রতিফলনেও ত্বক ট্যান পড়তে পারে, তাই সচেতন থাকা ভালো।
তৃতীয় ধাপে রাতে স্কিনকেয়ারের সময় একটি হালকা সিরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিটামিন সি বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরাম এখন বেশ জনপ্রিয়। ইনশাআল্লাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং দাগ হালকা হয়। তবে অতিরিক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো। ত্বককে সময় দিতে হবে নিজে থেকে ঠিক হওয়ার জন্য। আমি সপ্তাহে দুই দিন হালকা স্ক্রাব করি, এতে ত্বকের মৃত কোষ উঠে যায় এবং ময়েশ্চারাইজার সহজে ত্বকে শোষিত হয়।
সবশেষে, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং ঘুম ঠিক রাখা স্কিনকেয়ারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সারাদিন দৌড়ঝাঁপ, কাজ, ট্রাফিক এসবের মাঝে শরীর ক্লান্ত হয়ে গেলে ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে। তাই যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার, ফলমূল আর পানি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। স্কিনকেয়ার রুটিনটা আসলে আত্ম যত্নেরই একটি অংশ। নিয়ম করে চলতে পারলে খুব সহজেই স্বাস্থ্যকর ত্বক পাওয়া যায় ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)