ভাইরা, আজ ১৬ নভেম্বর ২০২৫, সকাল থেকেই মনটা একটু ভাবুক ছিল। তাই ভাবলাম নিজের একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। ময়মনসিংহে থাকি, অনলাইন সেলিং করি, জীবনটা খুবই ব্যস্ততার মাঝে কাটে। প্রতিদিন অর্ডার নেওয়া, প্যাকেজ করা, কুরিয়ারের ছুটাছুটি এইসবের মধ্যে কখনো কখনো মনে হয় ভেতরের শান্তিটা যেন একটু কমে যাচ্ছে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, গত কয়েক মাসে ইসলামী জীবনযাপনকে একটু গুরুত্ব দিয়ে দেখার পর বুঝেছি মানসিক প্রশান্তির জন্য ধর্মীয় অভ্যাসগুলো কত বড় আশীর্বাদ।
একদিন বিকেলে অর্ডার ডেলিভারি দেওয়ার পরে মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। নামাজ শেষে একজন চাচা খুব সুন্দরভাবে বললেন, প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো পড়লে আল্লাহ তায়ালা জীবনে সহজি এনে দেন। কথাটা শুনে সাধারণ মনে হলেও সেদিন মাশাআল্লাহ খুব গভীরভাবে লাগল। তারপর থেকেই চেষ্টা করছি নামাজের সময়টাকে ব্যবসার চাপের মধ্যেও অটুট রাখতে। ইনশাআল্লাহ নিয়মিত নামাজের কারণে মনটা এখন অনেক হালকা লাগে, কাজেও মনোযোগ বাড়ে।
ইসলামী জীবনযাপনের আরেকটা দিক হল হালাল রোজগারের ব্যাপারে সচেতন থাকা। অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় শর্টকাট নেওয়ার সুযোগ আসে, কিন্তু আমি সবসময়ই ভাবি হালাল পথে রুজি করলে বরকত আলাদা। আলহামদুলিল্লাহ, গ্রাহকদের সাথে সৎভাবে কথা বলা, প্রোডাক্ট যেমনটা আছে তেমনটাই দেখানো, দেরি হলে আগেই জানিয়ে দেওয়া এসবের কারণে এখন ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। অনেকে আবার নাম করে দোয়া করেন, এটা সত্যি মন ভরিয়ে দেয়।
আরেকটা জিনিস আমি শিখেছি, প্রতিদিন সকালে একটু কুরআন তিলাওয়াত করলে দিনের শুরুটাই অনেক ইতিবাচক হয়। বেশি না, মাত্র পাঁচ মিনিট হলেও। মনে হয় আল্লাহর কাছে সেদিনের জন্য শক্তি আর সঠিক দিক নির্দেশনা চেয়ে নেওয়া হলো। ময়মনসিংহের ঘরবাড়ির ভোরের বাতাস, দূর থেকে আজান, আর হাতে কুরআন থাকলে মনটা শান্তিতে ভরে যায়।
সবশেষে বলতে চাই ভাই, জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক, ইসলামী জীবনযাপন মানে জীবনকে সীমাবদ্ধ করা নয়। বরং নিজের আত্মাকে পরিষ্কার রাখা, পরিবার আর সমাজে শান্তি ছড়ানো, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার চেষ্টা করা। ইনশাআল্লাহ এমন ছোট ছোট অভ্যাসই আমাদের জীবনে বড় পরিবর্তন এনে দেয়।
Top comments (0)