ভাইেরা, আসসালামু আলাইকুম। আজ ৩০ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পণ্যের দাম তুলনা না করলে এখন আর ঠিকঠাকভাবে কিছু কেনাকাটা করা যায় না। আমি ময়মনসিংহে অনলাইনে যেসব পণ্য বিক্রি করি, তার বেশিরভাগই আমি আগে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দাম মিলিয়ে দেখি। বিশেষ করে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ, ছোট ইলেকট্রনিক্স আর হোম ইউটিলিটি জিনিসপত্র—দামের তারতম্য এখন অনেক বেশি। একেকটা সাইটে একেক রকম দাম, কখনও পার্থক্য ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই দাম যাচাই না করলে অযথা খরচ বাড়তেই থাকে।
গত কিছুদিন আগে একটি ওয়্যারলেস ইয়ারফোন তুলনা করতে গিয়ে দেখি একই মডেল Daraz, Facebook শপ আর আমার পরিচিত দুজন হোলসেলার—তিন জায়গায় তিন রকম দাম। একজন ১৩৫০ টাকা বলছে, আরেকজন ১৫৮০ টাকা, আবার এক দোকানে ১৪২০ টাকা। মান একই, ওয়ারেন্টি একই, শুধু বিক্রেতার প্রযুক্তি খরচ আর স্টক আপডেটের উপর ভিত্তি করে মূল্য বদলে যায় মনে হয়। এই তুলনা না করলে হয়তো আমি বেশি দামে কিনে নিতাম। তাই এখন আমি সব সময়ই স্ক্রিনশট নিয়ে রাখি এবং প্রমাণ হিসেবে দেখাই, যাতে ন্যায্য দরেই নিতে পারি।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ময়মনসিংহের স্থানীয় মার্কেটে আর অনলাইন মার্কেটে মাঝে মাঝে প্রচণ্ড ফারাক থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, ফিজিক্যাল দোকানে অতিরিক্ত ভাড়া বা লোকবল খরচের কারণে দাম বেশি রাখা হয়, অথচ অনলাইনে একই জিনিসের দাম কম। আবার কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে ডেলিভারি চার্জ, হিডেন চার্জ বা অফারের অভাবে দাম বেশি দেখা যায়। তাই শুধু এক জায়গার উপর ভরসা না করে, দু-তিনটা জায়গা ঘুরে দেখা এখন জরুরি। আলহামদুলিল্লাহ, এভাবে করলে আমার নিজের ব্যবসায়ও লাভ থাকে আর ক্রেতাকেও সেরা দাম দিতে পারি।
আপনারা যারা অনলাইনে বিক্রি করেন বা নিয়মিত কেনাকাটা করেন, আপনারা কি দাম তুলনা করে নেন? নাকি বিশ্বাসের দোকান থেকেই কিনে ফেলেন? আমার মনে হয়, বর্তমান বাজারে একটু সময় নিয়ে তুলনা করলেই ইনশাআল্লাহ অযথা খরচ কমানো যায়। আপনারা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে সবারই উপকার হবে 😊
Top comments (0)