ভাইরা, আজ ৭ নভেম্বর ২০২৫ এর বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটু আপডেট দেই। প্রবাসে থেকেও দেশে কি হচ্ছে সেটা নিয়মিত দেখার চেষ্টা করি, কারণ বাড়ির মানুষদের খরচ, পাঠানো রেমিট্যান্স আর বাজেট পরিকল্পনা সবকিছুই এর সঙ্গে জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন আর অফলাইন বাজারে পণ্যের দাম তুলনা করলে যে পার্থক্যগুলো দেখা যাচ্ছে, সেগুলো সত্যি চোখে পড়ার মতো। অনেকেই ভাবেন অনলাইন মানেই সস্তা, কিন্তু বাস্তবে এখন চিত্রটা আগের মতো নেই।
ধরা যাক, গত সপ্তাহে আমার ধানমন্ডির এক বন্ধুর জন্য একটা মাঝারি মানের rice cooker কিনতে হলো। দোকানে গিয়ে দেখা গেল নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের দামের মধ্যে দুই তিনশ টাকার ভিন্নতা আছে। পরে Daraz আর কিছু Facebook Marketplace গ্রুপে খুঁজে দেখি অনলাইনেও একই জিনিসে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার পার্থক্য। আগে এমন হলে মনে হত অনলাইনে নিলে বোধহয় অন্তত ডেলিভারি খরচ বাঁচবে, কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রে ডেলিভারি ফি যোগ করলে অনলাইনটাই উল্টো বেশি পড়ে। তাই আমি বন্ধুকে বললাম দোকান থেকেই কিনে নিতে, আলহামদুলিল্লাহ বেশ সাশ্রয় হল।
আরেকটা জিনিস আমি নিজে টের পাই যখন বাংলাদেশে গেলে মিরপুরের বাজারে গিয়ে মাছ মাংসের দাম দেখি। ইলিশ বা রুইয়ের দামের সঙ্গে অনলাইন গ্রোসারি অ্যাপগুলোর তালিকা মিলিয়ে দেখলে বেশ পার্থক্য দেখা যায়। বিশেষ করে ইলিশ মৌসুমে দোকানদাররা দরদাম করে কিছুটা কমাতে রাজি থাকেন, কিন্তু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সেই সুযোগ নেই। অবশ্য সুবিধা আছে, মান নিয়ে সন্দেহ থাকে না, কিন্তু দাম তুলনায় এখনও সামনাসামনি বাজার বেশ এগিয়ে আছে। পরিবারে যারা রান্না করেন তারা বলেন একই দামে অনলাইনে পরিমাণ কম পাওয়া যায়। ঘটনাটা আমি নিজেও লক্ষ্য করেছি।
তবে আবার কিছু জিনিস আছে অনলাইনে তুলনামূলক সস্তা, যেমন মোবাইল অ্যাকসেসরিজ বা ছোটখাটো kitchen tools। এগুলো দোকানে গিয়ে কিনলে দাম বেশি বলে মনে হয়, কিন্তু অনলাইন সেলের সময় bKash cashback বা ভাউচার ব্যবহার করলে ভালোই সেভ করা যায়। এই দিকটা এখনো লাভজনক, ইনশাআল্লাহ প্রযুক্তি আর প্রতিযোগিতা বাড়লে আরও সুবিধা বাড়বে।
সব মিলিয়ে, আমার মনে হচ্ছে এখন পণ্যের দাম তুলনা করা এক ধরনের কৌশল। শুধু একটি প্ল্যাটফর্মে দেখলে চলবে না। দোকান, অনলাইন, মার্কেটপ্লেস সব জায়গায় দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হয়। ভাইরা, আপনারা সাম্প্রতিক সময়ে কি অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন দাম তুলনা নিয়ে? মন্তব্যে জানালে সবার উপকার হবে। ☺️
Top comments (0)