আলহামদুলিল্লাহ, আমার ছোট্ট সোনামণির বয়স এখন ছয় মাস হয়ে গেলো। এই সময়টাতে আমি বুঝতে পারলাম যে বাচ্চা হওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে অনেক পরিবর্তন আসে। প্রথম দিকে আমি আর আমার স্বামী দুজনেই এতটা ক্লান্ত থাকতাম যে একে অপরের সাথে ঠিকমতো কথাও বলার সময় পেতাম না। রাতে বাচ্চার কান্না, দিনে ঘরের কাজ, সব মিলিয়ে মনে হতো আমরা যেন দুজন আলাদা মানুষ একই ছাদের নিচে থাকছি।
তারপর একদিন আমার স্বামী অফিস থেকে ফিরে দেখলো আমি কাঁদছি। সেদিন আমরা অনেকক্ষণ বসে কথা বললাম। বুঝলাম যে দুজনেই নিজের নিজের জায়গায় কষ্ট পাচ্ছি কিন্তু একে অপরকে বলছি না। সেই থেকে আমরা একটা নিয়ম করলাম, প্রতিদিন রাতে বাচ্চা ঘুমানোর পর অন্তত পনেরো মিনিট শুধু আমরা দুজন কথা বলবো। মোবাইল ফোন দূরে রাখবো, টিভি বন্ধ থাকবে।
আরেকটা জিনিস শিখলাম যে ছোট ছোট কাজেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা জরুরি। আমার স্বামী যখন বাচ্চার ডায়াপার বদলায় বা আমাকে একটু ঘুমাতে দেয়, আমি এখন ধন্যবাদ বলি। আগে মনে হতো এটা তো ওর দায়িত্ব, ধন্যবাদ কিসের? কিন্তু এই ছোট্ট কথাগুলো সম্পর্কে অনেক পার্থক্য আনে। একইভাবে সেও আমার রান্না বা ঘরের কাজের প্রশংসা করে এখন।
ধানমন্ডি লেকের পাশে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল, মনে আছে আজও। গত সপ্তাহে আমার শাশুড়ি এসে বাচ্চাকে দেখাশোনা করলেন, আমরা দুজন একসাথে সেই লেকে গিয়ে হাঁটলাম। মাশাআল্লাহ, অনেকদিন পর মনে হলো আমরা আবার সেই আগের মতো বন্ধু। মাঝে মাঝে এরকম একটু সময় বের করা খুব দরকার।
আমার মতো নতুন মায়েদের বলবো, সম্পর্কে সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু চুপ করে থাকলে সমস্যা বাড়ে। খোলামেলা কথা বলুন, সাহায্য চাইতে লজ্জা করবেন না। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে 💕
Top comments (0)