ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া চিকিৎসার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে মৌসুমি সর্দি কাশি, হালকা গলা ব্যথা কিংবা গরমে ডায়রিয়ার মতো সাধারণ অসুস্থতায় অনেক পরিবারই প্রাথমিকভাবে ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হালকা অসুস্থতার ক্ষেত্রে এসব পদ্ধতি উপকারী হতে পারে, তবে জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মোহাম্মদপুর এলাকার অনেক পরিবারই লবণ-গরম পানির গার্গল, আদা আর মধুর মিশ্রণ, অথবা তুলসি পাতার ভাপ নেওয়ার মতো পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। আমার নিজের অভিজ্ঞতাতেও দেখা গেছে, হালকা কাশি হলে আদা চা বেশ ভালো কাজ করে, আলহামদুলিল্লাহ। গত সপ্তাহে আমাদের অফিসের এক সহকর্মীও গরমে হালকা ডিহাইড্রেশনে পড়লে ঘরে তৈরি লবণ-চিনি মেশানো ওরস্যালাইন খেয়ে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছেন।
তবে চিকিৎসকেরা সতর্ক করছেন যে শুধু ঘরোয়া চিকিৎসার ওপর নির্ভর করাটা ঠিক নয়। সাধারণ উপসর্গে এসব পদ্ধতি সহায়ক হলেও উচ্চ জ্বর, তীব্র ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বা ডায়রিয়া তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে দেরি না করে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়াই নিরাপদ। মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি আর মিরপুরের কয়েকটি ক্লিনিকের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, অনেক রোগী দেরিতে হাসপাতালে আসার ফলে জটিলতা বেড়ে যায়, যা আগে হলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যেত।
তবুও ঘরোয়া চিকিৎসার প্রতি মানুষের আস্থা পুরোপুরি অমূলক নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি আর অভিজ্ঞতারই অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করলে ঘরোয়া চিকিৎসা প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে কার্যকর। কিন্তু সবসময় মনে রাখতে হবে, নিজের কিংবা পরিবারের কারও অবস্থা খারাপ মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত, ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)