বাংলা গানের জগতে সাম্প্রতিক সময়ে একটি নতুন ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শ্রোতারা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি বৈচিত্র্য খুঁজছেন, বিশেষ করে স্বাধীন শিল্পীদের গান, ব্যান্ড মিউজিক, আর নরম সুরের আধুনিক গান তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায়ও চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রিকশার সাউন্ডবক্স পর্যন্ত বাংলা গানেরই দাপট দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, বাংলা গানের এই পুনর্জাগরণ সত্যিই আনন্দের বিষয় আলহামদুলিল্লাহ।
গত মাসে মুক্তি পাওয়া ঢালিউডের অন্যতম ব্যয়বহুল সিনেমা বরবাদ অনেক দর্শককে হলে টেনেছে। যদিও সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা বেশি হয়েছে, তবুও এর গানগুলোর প্রতি শ্রোতাদের আগ্রহও নজর কেড়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করছেন। আমি নিজেই আগ্রাবাদের এক বন্ধুর সঙ্গে সিনেমাটি দেখতে গিয়ে দেখেছি, হল থেকে বের হওয়ার পর কয়েকজন দর্শক গানগুলো নিয়ে কথা বলছিলেন। তারা বলছিলেন, বড় বাজেটের ছবির সঙ্গে মানানসই সাউন্ডট্র্যাক থাকলে বাংলা গানের মান আরও উঁচুতে উঠবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলা গানের প্রতি নতুন প্রজন্মের ঝোঁকও বেশ ইতিবাচক। YouTube আর বিভিন্ন মিউজিক অ্যাপের কারণে এখন যে কেউ খুব সহজে নিজের গান প্রকাশ করতে পারছে। আমার নিজের কাজিন মীরসরাই থেকে কয়েক মাস আগে একটি বাংলা গান রেকর্ড করে অনলাইনে প্রকাশ করেছে। গানটি খুব পেশাদার মানের না হলেও, নিজের ভাষা আর নিজের কণ্ঠে কিছু বলার যে আনন্দ, সেটা তার চোখে মুখে স্পষ্ট ছিল মাশাআল্লাহ। এই ধরনের ব্যক্তিগত উদ্যোগই বাংলা গানের জগতে নতুন বাতাস এনে দিচ্ছে।
এছাড়া দেশের বড় বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এখন নিয়মিতভাবে বাংলা গান প্রকাশ করছে, যা শ্রোতাদের কাছে আরও পছন্দের হয়ে উঠছে। বিশেষ করে প্রেমের গান, লোকগান আর সমসাময়িক জীবনের গল্প বলার গানগুলো খুব জনপ্রিয়। আগ্রাবাদের এক ছোট ক্যাফেতে বসে চা খেতে খেতেই আমি প্রায়ই দেখি, তরুণরা তাদের পছন্দের বাংলা গান শোনে আর বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে। বাংলা গান যেন আমাদের জীবনের রঙ হয়ে গেছে, প্রতিদিনের গল্পের মতোই। 🎵
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলা গান আজ আবারও তার স্বর্ণালি জায়গা দখল করে নিচ্ছে। শ্রোতাদের এই ভালোবাসা আর নতুন প্রজন্মের আগ্রহ থাকলে সামনে আরও ভালো কিছু আসবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)