চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজকাল ছোট ব্যবসার সুযোগ আগের তুলনায় অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে অনলাইন ভিত্তিক বিক্রি, হোম-কুকড ফুড ব্যবসা, কুরিয়ার নির্ভর পণ্য বিতরণ এবং ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে ছোট পরিসরে কাজ শুরু করার প্রবণতা বাড়ছে। আলহামদুলিল্লাহ অনেকে খুব অল্প পুঁজিতেই কাজ শুরু করে ভালো অগ্রগতি দেখছেন। তবে বাজারে প্রতিযোগিতা অনেক, তাই পরিকল্পনা ও গ্রাহক টার্গেটিং পরিষ্কার না থাকলে শুরুতেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইনশাআল্লাহ সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে স্থিরভাবে এগোনো সম্ভব।
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে bKash, Pathao কিংবা বিভিন্ন অনলাইন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন ও পণ্য ডেলিভারি অনেক সহজ হয়েছে। এতে করে নাসিরাবাদ, মুরাদপুর বা জিইসি এলাকার তরুণরাও ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে স্থানীয় গ্রাহক পেতে সুবিধা পাচ্ছেন। তবে খরচ বাড়ায় লাভের মার্জিন টিকিয়ে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে যারা খাদ্যপণ্যের ব্যবসা করেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপনের খরচও এখন বাড়তি চিন্তার বিষয়। তারপরও, সঠিক ব্র্যান্ডিং ও গ্রাহকের আস্থা তৈরি করতে পারলে টেকসই উন্নতি সম্ভব।
আরেকটি বড় দিক হলো দক্ষতা উন্নয়ন। যেহেতু বাজার দ্রুত বদলাচ্ছে, তাই সহজ কিছু স্কিল যেমন বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং, প্যাকেজিং আইডিয়া বা কাস্টমার সার্ভিস জ্ঞান রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক তরুণ এখন ইউটিউব বা অনলাইন কোর্স থেকে এসব শিখে কাজে লাগাচ্ছেন। মাশাআল্লাহ এভাবে শেখার সুযোগ বাড়ায় ব্যবসায়িক ঝুঁকি কিছুটা কমে যায়। সামনে যারা ছোট ব্যবসা শুরু করতে চান, তাদের জন্য ধৈর্য, নিয়মিত শেখা এবং বাজার পর্যবেক্ষণ করা সবচেয়ে জরুরি বলে মনে হয়।
Top comments (0)