বাংলাদেশে পরিবেশ সংক্রান্ত আলোচনা এখন আর শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ নেই, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খুব পরিচিত একটি অংশ হয়ে গেছে। বিশেষ করে ২২ আগস্ট ২০২৫ অনুযায়ী সাম্প্রতিক সময়ে যে রকম জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, তা আমাদের দেশের কৃষি, নগরজীবন এবং মানুষের স্বাস্থ্যকে সরাসরি প্রভাবিত করছে। আমরা যেহেতু নদীমাতৃক দেশে বাস করি, তাই নদীর ভাঙন, পানি কমে যাওয়া, অতিবৃষ্টি অথবা অতি খরার মতো সমস্যা নিয়ে এখন আরও বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। আলহামদুলিল্লাহ, পরিবেশ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে, তবে বাস্তবে অনেক কাজ এখনো বাকি।
আমি নিজে রংপুরে বড় হয়েছি, আর সেখানকার আবহাওয়ার পরিবর্তন গত কয়েক বছরে চোখে পড়ার মতো। আগে বৈশাখে যে গরম পড়তো, এখন তা জ্যৈষ্ঠে গিয়ে আরও তীব্র হয়। আবার শীতকালে হঠাৎ কুয়াশা বেড়ে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চলাফেরায় সমস্যা তৈরি করে। ইনশাআল্লাহ উন্নত পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসব সমস্যা কমানো সম্ভব, তবে এর জন্য মানুষের দৈনন্দিন অভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলি, আমাদের এলাকায় একসময় প্লাস্টিক ব্যাগ প্রচুর ব্যবহার হতো, যার ফলে রাস্তার ড্রেন বন্ধ হয়ে যেত। এখন ধীরে ধীরে মানুষ কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করেছে, এতে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে।
শহর এলাকায় যেমন ঢাকা বা মিরপুরে পরিবেশ দূষণের বড় উৎস হচ্ছে যানবাহনের ধোঁয়া এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা। এসব শহরের বাতাস এখন অনেক সময় সহনীয় মাত্রার বাইরে চলে যায়, বিশেষ করে গরমের সময়। আমি ঢাকায় কাজের প্রয়োজনে গেলে প্রায়ই মাস্ক ব্যবহার করি, কারণ ধুলাবালি এত বেশি থাকে যে গলা পর্যন্ত খারাপ লাগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি দেখলে ভালো লাগে, মাশাআল্লাহ এগুলো যদি দীর্ঘমেয়াদে বজায় থাকে তবে পরিবেশ উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আমরা চাইলে ব্যক্তিগতভাবে ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় বড় অবদান রাখতে পারি। যেমন পানি অপচয় কমানো, প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো, বাড়ির আশপাশে গাছ লাগানো, কিংবা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সচেতনভাবে ব্যবহার করা। আমি নিজে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করি, তাই ল্যাপটপ সবসময় চালু থাকলেও চেষ্টা করি অপ্রয়োজনীয় লাইট বা ফ্যান বন্ধ রাখতে। এ ধরনের অভ্যাস আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে, পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণও কমায়। পরিবেশ বাঁচানো শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং আমাদের সবার মিলিত প্রচেষ্টাই বাংলাদেশকে আরও বাসযোগ্য করে তুলতে পারে।
সুতরাং পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি। প্রকৃতি আমাদের অনেক কিছু উপহার দিয়েছে, তাই তা রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব। ইনশাআল্লাহ আমরা যদি সবাই মিলে কাজ করি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই বাংলাদেশ রেখে যেতে পারব। 🌿
Top comments (0)