বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ুর অস্বাভাবিক আচরণ বিজ্ঞানীদের নতুনভাবে ভাবাচ্ছে। ২০২৫ সালের এই মৌসুমে পরিবেশবিষয়ক গবেষণা দলগুলো জানিয়েছে যে উপকূলীয় এলাকায় তাপমাত্রার ওঠানামা ও লবণাক্ততার বৃদ্ধি এখন আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। গবেষকদের মতে, বৃষ্টিপাতের অনিয়মিত সময় ও তীব্রতার কারণে কৃষি ও মিঠা পানির উৎসে চাপ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই স্থানীয় প্রতিবেশ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়ও পরিবর্তনের বাস্তব চিত্র উঠে আসে। বরিশাল অঞ্চলে গত কয়েক বছর ধরে বর্ষার সময়ে কখনও অতিবৃষ্টি, আবার কখনও দীর্ঘ শুষ্কতার অভিজ্ঞতা মানুষকে চিন্তিত করে তুলেছে। আমি নিজেও গত সপ্তাহে বাড়ি থেকে বেরিয়ে লক্ষ্য করেছিলাম যে বাতাসে অস্বাভাবিক উষ্ণতা ছিল, যদিও সেই সময় সাধারণত একটু শীতল অনুভূতি পাওয়ার কথা। আশপাশের কৃষক ভাইয়েরাও বলছিলেন যে মৌসুমি ফসলের বৃদ্ধি ও ফলন পূর্বের মতো স্থিতিশীল নেই। আলহামদুলিল্লাহ, অনেকেই এখনও সংগ্রাম করে ফসল ধরে রাখছেন, তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথভাবে উপকূলীয় এলাকার পরিবেশগত পরিবর্তন শনাক্ত করার জন্য নতুন পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি চালাচ্ছেন। তাদের মতে, নদীর চর পরিবর্তন, মাটির লবণাক্ততা এবং কাদামাটির স্তরগত পরিবর্তন বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের ঝুঁকি কমানোর উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব হতে পারে। ইনশাআল্লাহ এই গবেষণাগুলো সঠিকভাবে এগোলে সামনে আরও কার্যকর নীতি গ্রহণ করা যাবে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তি নির্ভর ডেটা সংগ্রহ এখন অত্যন্ত জরুরি, কারণ সঠিক পরিমাপ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়।
সরকারি এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য পানি সংরক্ষণ, বৃষ্টির পানি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ এবং টেকসই কৃষি পদ্ধতি প্রচারের উদ্যোগ চালু রয়েছে। আমি নিজে সম্প্রতি এক কমিউনিটি প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে দেখেছি, গ্রামের তরুণরা পরিবেশ নিয়ে এখন আরও আগ্রহী। তারা বলছিল, সঠিক তথ্য জানা থাকলে সবাই মিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে। মাশাআল্লাহ এমন উদ্যোগ দেশের পরিবেশগত ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।
সব মিলিয়ে বলা যায়, দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রভাব বিজ্ঞানী, সাধারণ মানুষ এবং নীতিনির্ধারকদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সচেতনতা, গবেষণা এবং বাস্তবমুখী পরিকল্পনার সমন্বয়েই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ, সময়মতো উদ্যোগ নিলে পরিবেশ রক্ষা করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ একটি প্রকৃতি উপহার দেওয়া যাবে।
Top comments (0)