নামাজের নিয়ম ঠিকভাবে জানা এবং মেনে চলা আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ, বিশেষ করে আমাদের মতো মুসলিম সমাজে। রংপুরে বড় হওয়ার সময় ছোটবেলা থেকেই নামাজের বিষয়ে বাড়িতে একটা পরিবেশ ছিল, কিন্তু সত্যি বলতে কি ভাই, তখন নিয়মগুলো ঠিকমতো বুঝে পড়তাম না। এখন কয়েক বছর ধরে একটু সিরিয়াসভাবে শিখছি, আলহামদুলিল্লাহ, এতে জীবনেও অনেক শান্তি এসেছে। আজ ৪ জানুয়ারি ২০২৫ এ বসে মনে হলো নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আর শেখার বিষয়গুলো শেয়ার করি।
নামাজের প্রথম শর্ত নিয়ত। আগে ছোটবেলায় মুখে বলে ফেলতাম, কিন্তু মনোযোগ থাকত না। পরে এক আলেম চাচার কাছে শুনলাম যে নিয়ত আসলে মনের স্থির সিদ্ধান্ত। তখন থেকে দাঁড়ানোর আগে মনে মনে ঠিক করে নিই কোন নামাজ, কত রাকাত, এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করছি। এতে মনোযোগ অনেক বাড়ে, মাশাআল্লাহ। রংপুরের মসজিদে ইমাম সাহেবও প্রায়ই খুতবায় বলেন যে নিয়ত পরিষ্কার হলে নামাজেও একটা ভিন্ন রুহানি স্বাদ আসে।
এরপরের অংশ কিয়াম, রুকু, সিজদা। এগুলোর সঠিক নিয়ম শিখতে আমি ইউটিউবে কয়েকটা নির্ভরযোগ্য ইসলামিক চ্যানেলের ভিডিও দেখেছিলাম, আবার কাছের মসজিদে এক বড় ভাইয়ের সাথে আলোচনা করেছি। রুকুর সময় পিঠ সোজা রাখা, সিজদায় কপাল আর নাক দুটোই মাটিতে রাখা, আর তাশাহহুদের সময় আঙুল তোলা এগুলো ঠিকভাবে শিখে নিতে একটু সময় লেগেছে। কিন্তু এখন নিয়ম মেনে করলে মনে হয় যেন মনেই এক ধরণের প্রশান্তি নেমে আসে।
সুরা আর তিলাওয়াতের নিয়মও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগে তাড়াহুড়ো করে পড়তাম, কিন্তু এখন ধীরে ধীরে, অর্থ মনে রেখে পড়ার চেষ্টা করি। ফজরের নামাজে সুরা ইখলাস পড়লে পুরো দিনটা যেন ভালো কেটে যায় বলে মনে হয়, আলহামদুলিল্লাহ। রংপুরের শীতের সকালে ওজু করতে কষ্ট হয় ঠিকই, কিন্তু মসজিদের দিকে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় এই কষ্টই আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের মাধ্যম হবে ইনশাআল্লাহ।
সবশেষে একটা ব্যক্তিগত কথা বলতে চাই। নামাজের নিয়ম শিখে এবং ধীরে ধীরে অভ্যাসে আনতে গিয়ে আমার জীবনে শৃঙ্খলা বেড়েছে। রুটিন ঠিক হয়েছে, মনের দুশ্চিন্তা কমেছে, আর নিজের ভেতরে এক ধরণের আলো অনুভব করি। হয়তো আমরা সবাই ব্যস্ত, কিন্তু নিয়মগুলো ঠিকভাবে মেনে নামাজ পড়লে যে শান্তি মেলে, সেটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)