Banglanet

আধুনিক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পরিবর্তন

বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই মনটা অন্যরকম উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে ভাই। খুলনা সিটির মানুষ হিসেবে আমি নিজেই দেখছি, গত কয়েক বছরে আমাদের আশেপাশের পরিবেশ কত দ্রুত বদলে গেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার অগ্রগতি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ, আজকাল ঘরে বসেই নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করা, চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া বা নতুন কিছু শেখা আগের তুলনায় অনেক সহজ। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের অবদান অসাধারণ।

আমি ব্যক্তিগতভাবে ভাবি, আজকের দিনে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন বা সফটওয়্যারের উন্নতি শুধু বিলাসিতা নয়, বরং একটি বাস্তব প্রয়োজন। যেমন ধরুন, আমরা যখন Pathao বা bKash ব্যবহার করি, তখন এর ভেতরে থাকা প্রযুক্তিগুলোও এক ধরনের বৈজ্ঞানিক সাফল্য। আগে যেসব কাজ করতে খুলনার খালিশপুর বা নিউমার্কেট এলাকায় যেতে হতো, এখন অনেকটাই অনলাইনে সেরে নেওয়া যায়। এই পরিবর্তনটা আমাকে সব সময়ই ভাবায়, বিজ্ঞানের এই ধারা ভবিষ্যতে আমাদের আর কত দূর নিয়ে যেতে পারে।

সম্প্রতি আমি একটি ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম যেখানে দেখানো হচ্ছিল গবেষকরা কীভাবে নতুন ধরনের পরিবেশবান্ধব শক্তি নিয়ে কাজ করছেন। যদিও এটি বৈশ্বিক পর্যায়ের গবেষণা, তবুও মনে হলো ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ এমন প্রযুক্তি বাংলাদেশেও আরও সহজলভ্য হবে। আরেকদিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কথাও না বললেই নয়। আজকাল ঢাকার বড় হাসপাতালগুলোতেও অনেক আধুনিক মেশিন ব্যবহার হচ্ছে, যা রোগ নির্ণয়কে দ্রুত ও নির্ভুল করছে। বিজ্ঞানের এই দিকগুলো আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করে।

সবশেষে বলতে চাই, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার শুধু ল্যাবরেটরিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি কোণ ছুঁয়ে আছে। মিরপুর, ধানমন্ডি থেকে শুরু করে আমাদের খুলনার শিববাড়ী মোড় পর্যন্ত—প্রতিদিনই আমরা বিজ্ঞানের সুবিধা ভোগ করছি। নতুন গবেষণা, নতুন চিন্তা ও নতুন উদ্ভাবন আমাদের দেশের তরুণদের জন্যও নতুন সুযোগ তৈরি করছে। মাশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে যদি আমরা বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ তৈরি করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের অগ্রগতি আরও দ্রুত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

Top comments (0)