চট্টগ্রামের আবহাওয়া তো জানেনই ভাই, কখনো প্রচণ্ড গরম, কখনো আবার হঠাৎ বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় ছোটখাটো অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। তাই আজ ২২ জুন ২০২৫ অনুযায়ী কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার টিপস নিয়ে বিস্তারিত লিখলাম, সঙ্গে দিলাম আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতাও। আলহামদুলিল্লাহ, এগুলো বেশ কাজে দেয়।
প্রথমেই বলি সর্দি-কাশির কথা। গরম-ঠান্ডার এদিক-সেদিক হলে অনেকেই ঝট করে সর্দি-কাশিতে ভোগেন। আমি নিজেও কয়েকবার ভুগেছি। এ সময় গরম পানি, আদা, লেবু আর মধুর মিশ্রণ দারুণ কাজ করে। আমার আম্মা ছোটবেলা থেকেই দিতেন, এখনও অসুখের শুরুতে এটা খেলে ইনশাআল্লাহ ভালো লাগে। সাথে গলা ব্যথা থাকলে গরম পানি দিয়ে কুলি করলে আরাম মেলে। এগুলো খুব সহজ কিন্তু কার্যকর।
এবার পেটের গণ্ডগোলের কথা বলি। চট্টগ্রামে ফুচকা আর চটপটি খেতে গিয়ে অনেক সময় পেটের সমস্যা হয়েই যায়, বিশেষ করে বর্ষাকালে। এই সময়ে ভাতের মাড় বা সেদ্ধ চালের পানি খুব উপকারী। আমি একবার অতিরিক্ত ঝাল খেয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম, তখন আম্মার দেয়া মাড় খেয়ে একদিনেই ভালো হয়ে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি দইও বেশ কাজ করে, তবে অবশ্যই ঘরোয়া টাটকা দই হলে বেশি ভালো।
চামড়ার ছোটখাটো সমস্যা যেমন হালকা পোড়া বা কেটে গেলে অ্যালোভেরা জেল বেশ উপকারী। বাড়িতে যদি অ্যালোভেরা গাছ থাকে, পাতার ভেতরের জেলটা লাগালেই শীতল অনুভূতি দেয় এবং দ্রুত আরোগ্যে সাহায্য করে। আমি আমার বারান্দায় দুইটা অ্যালোভেরা গাছ রেখেছি শুধু এই কাজের জন্য। মাশাআল্লাহ, কাজে দেয়ই।
সবশেষে একটা কথা বলতে চাই ভাই, ঘরোয়া চিকিৎসা অনেক সময় ভালো কাজ করলেও অবশ্যই সব সমস্যার সমাধান নয়। উপসর্গ বেশি হলে বা কয়েকদিনেও ভালো না হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো জরুরি। ঘরোয়া টিপসগুলো মূলত প্রাথমিক আরাম দেয়, তবে সঠিক চিকিৎসার গুরুত্ব সবসময়ই বেশি। আলহামদুলিল্লাহ, সচেতন থাকলে সুস্থ থাকা সহজ হয়। আপনার কাছেও যদি কোন কাজের ঘরোয়া টিপস থাকে, শেয়ার করলে ভালো লাগবে। 😊
Top comments (0)