আসসালামু আলাইকুম ভাইয়েরা। আজকে একটু মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলতে চাই। সত্যি বলতে, এই বিষয়টা আমাকে সবসময় অবাক করে দেয়। আল্লাহ তায়ালা কত বিশাল এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, সেটা ভাবলে মাথা ঘুরে যায়। আমাদের পৃথিবী তো মহাবিশ্বের তুলনায় একটা ধূলিকণার মতো। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কার করছেন যা সত্যিই মাশাআল্লাহ বলতে হয়।
আমি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে থাকি। গত মাসে রাতে ছাদে উঠে আকাশ দেখছিলাম। এখানে শহরের আলোর কারণে তারা তেমন ভালো দেখা যায় না, তবুও চাঁদটা দারুণ লাগছিল। তখন মনে পড়লো, মানুষ এই চাঁদে পা রেখেছে অনেক আগেই। এখন তো বিভিন্ন দেশ মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। YouTube এ এসব নিয়ে অনেক documentary দেখি, সত্যিই অসাধারণ লাগে।
বাংলাদেশও কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানে পিছিয়ে নেই। আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে আছে, এটা গর্বের বিষয়। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমরা আরো এগিয়ে যাবো। আমার ছোট ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান পড়ে, সে বলে মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশি তরুণরা অনেক আগ্রহী হচ্ছে এখন। এটা শুনে ভালো লাগে।
মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে গেলে অনেক উন্নত প্রযুক্তি লাগে। টেলিস্কোপ, স্যাটেলাইট, রকেট সব কিছুতেই কোটি কোটি টাকা খরচ। তবে এই বিনিয়োগ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, যোগাযোগ ব্যবস্থা, এমনকি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক প্রযুক্তি মহাকাশ গবেষণা থেকেই এসেছে।
শেষে বলতে চাই, আমাদের তরুণদের মহাকাশ বিজ্ঞানে আগ্রহী হওয়া উচিত। Facebook এ অনেক গ্রুপ আছে যেখানে এসব নিয়ে আলোচনা হয়। ভাইয়েরা যারা এই বিষয়ে আগ্রহী, তারা একটু সময় দিয়ে পড়াশোনা করুন। আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে জানা তো ইবাদতের মধ্যেই পড়ে। কি বলেন? 🌙
Top comments (0)