বাজেট শপিং নিয়ে আজ একটু নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করি ভাই। ২২ জুন ২০২৫, আজকাল ঢাকা শহরে খরচ যে কেমন বেড়ে গেছে, সেটা তো সবাই জানে। তারপরও একটু ধূর্তভাবে চললে বাজেটের মধ্যে ভালো শপিং করা এখনো সম্ভব আলহামদুলিল্লাহ। বনানীতে থাকি বলে আশেপাশের দোকানপাট ঘুরে ঘুরে দেখতেই ইদানীং একটা মজা পাই। ব্যস্ত রাস্তা, চা এর গন্ধ আর মানুষের ভিড় মিলিয়ে একটা আলাদা অনুভূতি হয়।
কয়েকদিন আগে বিকেলে অফিসের কাজ শেষ করে ভাবলাম একটু বের হই। হাতে বাজেট কম, কিন্তু কিছু দরকারি জিনিস কিনতেই হবে। প্রথমে এক দোকানে ঢুকেই দেখি দাম কিছুটা বেশি। পরে পাশের গলির ছোট দোকানটা ট্রাই করলাম। মাশাআল্লাহ, সেখানে একই জিনিস অনেক কম দামে পেলাম। ঠিক তখনই মনে হল, বড় দোকান মানেই সব সময় ভাল দাম নয়। ছোট দোকানেও অনেক সময় ভালো কোয়ালিটির জিনিস পাওয়া যায়।
তারপর আবার খিদে পেয়ে গেল, ভাবলাম সামান্য কিছু খাই। রাস্তার পাশের এক ফুচকা ওয়ালার কাছে দাঁড়িয়ে একটু ফুচকা খেলাম। খেতে খেতে দোকানির সাথে গল্প হচ্ছিল, তিনি বললেন এখন অনেক মানুষই বাজেট ধরে শপিং করে, তাই তারাও চেষ্টা করেন দাম কম রাখতে। কথাটা শুনে ভালোই লাগল ভাই। আমাদের দেশের মানুষের এই সহমর্মিতা এখনও আছে, এটা খুব পজিটিভ লাগে।
সবশেষে নিজের মনে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম যে বাজেট শপিং মানে শুধু কম দামে কিছু কেনা নয়। নিজের প্রয়োজন, দোকান নির্বাচন, দামের তুলনা আর ধৈর্য মিলিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই আসলে সবচেয়ে বড় বিষয়। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও চেষ্টা করব এমনভাবে শপিং করতে যাতে টাকা বাঁচে আর জিনিসও ভালো পাওয়া যায়। বনানীর আশেপাশে যারা থাকেন, আপনারাও চাইলে সময় করে একদিন হাঁটাহাঁটি করে দেখে নিতে পারেন। অনেক কিছুই মিলবে, শুধু একটু খুঁজে নিতে হবে।
Top comments (0)