Banglanet

বিদেশে পড়াশোনা নিয়ে প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতার বাস্তব দিকনির্দেশনা

বিদেশে পড়াশোনা অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন, বিশেষ করে আমাদের ঢাকা শহরের উত্তরা অঞ্চলে থাকা অনেক ভাইবোনই এখন উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যেতে আগ্রহী। আলহামদুলিল্লাহ, সাম্প্রতিক সময়ে তথ্য পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়েছে, তাই প্রস্তুতি শুরু করা তুলনামূলকভাবে আরও সংগঠিতভাবে করা সম্ভব। তবে সঠিক তথ্য ছাড়া সিদ্ধান্ত নিলে পরে ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু বিষয় পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছি, যেন আপনাদের কাজে আসে ইনশাআল্লাহ।

প্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার সেটা হলো দেশ নির্বাচন। অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা মালয়েশিয়া বেছে নেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং, টিউশন ফি, লিভিং কস্ট, কাজের সুযোগ এবং ভিসা নীতি ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। উদাহরণ হিসেবে, আমার এক ঘনিষ্ঠ ভাই উত্তরা থেকেই আবেদন করে মালয়েশিয়ায় মাস্টার্স করেছে। সে বলছিল যে টিউশন ফি তুলনামূলক কম হলেও ভিসা প্রসেসে বেশ কিছু নথি সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হয়, না হলে দেরি হয়।

দ্বিতীয়ত, আবেদন প্রক্রিয়ায় ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। IELTS বা TOEFL স্কোর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই লাগে। নিজের মতো পড়াশোনা করে স্কোর তোলা সম্ভব হলেও, কেউ চাইলে উত্তরা বা মিরপুরের ভাল মানের কোচিং সেন্টার থেকেও প্রস্তুতি নিতে পারে। পাশাপাশি SOP, Recommendation Letter এবং CV তৈরির ক্ষেত্রে যত্নশীল হওয়া দরকার। এগুলোতেই বোঝা যায় আপনি কেন বিদেশে পড়তে চান এবং কোন লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছেন।

তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা একটি বড় বিষয়। বিদেশে পড়াশোনার খরচ শুধু টিউশন ফি নয়, বাসা ভাড়া, খাবার, পরিবহন, স্বাস্থ্যবিমা সবই ধীরে ধীরে বড় অঙ্ক দাঁড়ায়। তাই যারা পরিবারের সহায়তায় যাচ্ছেন তারা আগেই মোটামুটি দুই বছরের ব্যয় হিসাব বুঝে নেবেন। আর যারা স্কলারশিপ পেতে চান, তারা আগেভাগেই বিভিন্ন বৃত্তির ওয়েবসাইট দেখে আবেদন করা শুরু করবেন। কানাডা এবং ইউরোপের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স এবং রিসার্চ প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ দেয়, তবে প্রতিযোগিতা একটু বেশি থাকে। মাশাআল্লাহ, আমার এক আপা স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপে পড়ছে, সে বলছিল যে যত তাড়াতাড়ি ডকুমেন্ট রেডি করা যায়, স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বাড়ে।

শেষে, বিদেশে যাওয়ার আগে মানসিক প্রস্তুতিও খুব জরুরি। পরিবার ছেড়ে নতুন দেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। তবে নতুন ভাষা, নতুন সংস্কৃতি এবং নতুন মানুষের সাথে যোগাযোগ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ। পড়াশোনা এবং পার্টটাইম কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়, তাই শুরুতেই সময় ব্যবস্থাপনার অভ্যাস তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। আলহামদুলিল্লাহ, সঠিক পরিকল্পনা করলে বিদেশে পড়াশোনা শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়, ব্যক্তিগত বিকাশেরও বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়। ইনশাআল্লাহ, আপনারাও সঠিক প্রস্তুতি নিলে সফল হবেন। 😊

Top comments (0)