আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি নিয়ে আজকাল অনেক আলোচনা চলছে। ৯ নভেম্বর ২০২৫ এর এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে যে দলগুলো বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সেগুলোর প্রভাব এলাকাভেদে ভিন্নভাবে পড়ছে। খুলনার মানুষ হিসেবে আমি নিজের এলাকায় কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। বেশ কিছুদিন ধরেই দেখতে পাচ্ছি যে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যদিও সেটার ধারাবাহিকতা অনেক সময় ঠিক থাকে না। অনেকেই বলছেন যে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয়তা বাড়লেও সাধারণ নাগরিক মহলে সেটা সবসময় মনে দাগ কাটে না।
সম্প্রতি এমন কিছু কর্মসূচি চলছে যেগুলো মূলত জনসংযোগ, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি অথবা সমস্যা শোনার মত কার্যক্রম। এসব কর্মসূচি সাধারণত শান্তিপূর্ণভাবেই হয়, তবে মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপও দেখা যায়। সরকারে থাকা দল হোক বা বিরোধী দল, সবাই এখন জনগণের মনোযোগ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় আছে বলে মনে হয়। বিশেষ করে জেলা শহরগুলোর বাইরে গ্রামীণ এলাকায় এসব প্রচারণা বা সভার মাধ্যমে দলগুলো নিজেদের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছে। সামগ্রিকভাবে এটা ইতিবাচকই, কারণ জনগণের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ বাড়ে।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললে, কয়েক সপ্তাহ আগে খুলনার সোনাডাঙ্গায় এক কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় নেতারা এলাকার রাস্তা, জলাবদ্ধতা আর যুবকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কথা বলেছেন। যদিও এসব প্রতিশ্রুতি নতুন নয়, তবুও জনগণের উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছে মানুষ অন্তত শুনতে আগ্রহী। আলহামদুলিল্লাহ, শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ছিল। অনেকেই বলছিলেন যে এমন সভা যদি নিয়মিত হয়, তাহলে সমস্যা শোনা এবং সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনা করা সহজ হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত তাদের মতাদর্শ এবং অগ্রাধিকারের ওপর ভিত্তি করে কর্মসূচি সাজায়। কেউ উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দেয়, কেউ গণতান্ত্রিক অধিকার বা প্রশাসনিক সংস্কারের কথা বলে, আবার কেউ তরুণদের জন্য শিক্ষা ও প্রযুক্তি নিয়ে পরিকল্পনা ঘোষণা করে। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া যেমন Facebook বা YouTube ব্যবহার করে দলগুলো দ্রুত তাদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারছে। এতে তরুণ প্রজন্মও কিছুটা বেশি যুক্ত হচ্ছে বলেই মনে হয়। তবে বাস্তবে পরিবর্তন দেখতে হলে শুধু কর্মসূচি নয়, তার বাস্তবায়নও জরুরি।
সবশেষে বলতে চাই, রাজনৈতিক কর্মসূচি যত বেশি জনবান্ধব হবে, ততই জনগণের আস্থা বাড়বে ইনশাআল্লাহ। আমাদের মতো সাধারণ নাগরিকেরা চাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, সেবার মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ। তাই राजनीति যদি সত্যিকারের জনগণের জন্য কাজ করতে চায়, তাহলে ঘোষিত কর্মসূচির পাশাপাশি সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
Top comments (0)