ভাইরা, আজ ১৪ এপ্রিল ২০২৫, পহেলা বৈশাখের এই ব্যস্ত সময়ে রাজশাহী বাজারে পণ্যের দাম কেমন চলছে, সেটা জানতে গিয়ে একটা মজার অভিজ্ঞতা হয়ে গেল। তাই ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। সম্প্রতি বাজারে গিয়ে দেখলাম বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে একটু ওঠানামা চলছে। বিশেষ করে চাল, ডাল আর ভোজ্যতেলের দামের দিকে নজর পড়ল। দোকানিদের সঙ্গে কথা বলেই বোঝা গেল, কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রেতাদের কাছ থেকেও একই প্রশ্ন আসছে পণ্যের আসল দাম কত আর কেন এত ওঠানামা।
আমি নিজে রাজশাহীতে কর্মরত একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে মাসের বাজেট মিলিয়ে চলাই আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাজারে গেলে সব সময়ই জিনিসের দাম আগে জেনে নিই। আলহামদুলিল্লাহ, এখন বেশিরভাগ দোকানে bKash আর Nagad এ পেমেন্টের সুবিধা আছে, তাই দাম জিজ্ঞাসা থেকে কেনাকাটা সবই দ্রুত করা যায়। তবে কিছু দোকানে এখনও স্পষ্টভাবে দাম লেখা থাকে না, ফলে ক্রেতাকে নিজে জিজ্ঞেস করতেই হয়। আমি দাম জিজ্ঞেস করলে দোকানদার মামা হাসিমুখে বললেন, দাম প্রতিদিনই একটু একটু করে বদলায়, তাই আপডেট অবস্থাটা দেখে বিক্রি করেন।
একটা মজার ঘটনা হল, আমি সাধারণত Pathao Food এ মাঝে মাঝেই বাজারের কিছু জিনিস অর্ডার দিই। কিন্তু আজ যেহেতু ছুটির দিন, সরাসরি বাজারে গিয়েছিলাম। দেখলাম অনলাইনের দাম আর বাজারের দামের মাঝে সামান্য পার্থক্য আছে। ইনশাআল্লাহ সামনে হয়তো এই ফারাক আরও কমে যাবে। তবে রাজশাহীর স্থানীয় বাজারগুলোতে দরদাম করে নেওয়ার সুবিধা থাকায় লোকজন এখনও সরাসরি বাজার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
সবশেষে একটা কথা বলি, পহেলা বৈশাখের সময় বলে বাজারে ভিড় একটু বেশি ছিল, কিন্তু দামের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সবাই বেশ ভদ্রভাবেই জানিয়ে দিচ্ছিল। আপনারা যদি কারও কাছে দাম জিজ্ঞেস করতে সংকোচ করেন, আমার মনে হয় সেটা দরকার নেই। দাম জিজ্ঞাসা করা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বিষয়, আর এতে নিজের বাজেটও ঠিক থাকে। আপনারা সাম্প্রতিক বাজার অভিজ্ঞতা কেমন পেলেন, জানালে ভাল লাগে ভাই। ইনশাআল্লাহ সবাই মিলে একে অপরকে আপডেট দিলে বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া আরও সহজ হবে।
Top comments (0)