গত সপ্তাহে একটা মজার ঘটনা হলো ভাই। আমি ফ্রিল্যান্সিং করি, তাই বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকি। আম্মু গ্রামে গেছিলেন কয়েকদিনের জন্য, আর আমি ভাবলাম এবার নিজে রান্না করে দেখাই। আম্মুর হাতের খিচুড়ির স্বাদ মনে পড়ছিল খুব, তাই সেটাই বানানোর চেষ্টা করলাম। ভাবলাম কতটুকু আর কঠিন হবে, চাল ডাল সবজি একসাথে দিলেই তো হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা এত সহজ ছিল না।
প্রথমে আগ্রাবাদের কাছের বাজার থেকে মসুর ডাল, আলু, ফুলকপি, গাজর কিনে আনলাম। YouTube এ একটা ভিডিও দেখে শুরু করলাম রান্না। কিন্তু সমস্যা হলো পানির পরিমাণ নিয়ে। প্রথমবার এত পানি দিলাম যে খিচুড়ি না হয়ে জাউ হয়ে গেল। দ্বিতীয়বার কম পানি দিতে গিয়ে তলায় লেগে গেল। মনে মনে ভাবলাম আম্মু এত সহজে কিভাবে করেন প্রতিদিন।
তৃতীয়বার আম্মুকে ফোন করলাম। উনি হাসতে হাসতে বললেন যে খিচুড়িতে চাল আর ডালের অনুপাত ঠিক রাখতে হয়, আর পানি দিতে হয় চাল ডালের দ্বিগুণ। এছাড়া ঘি দিয়ে পেঁয়াজ ভাজা করে তারপর মসলা দিতে হয়। আদা রসুন বাটা, হলুদ, জিরা গুঁড়া, একটু গরম মসলা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন যে আঁচ কম রাখতে হবে আর ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে যেন ভাপে রান্না হয়।
আম্মুর পরামর্শ মতো আবার চেষ্টা করলাম। এবার আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো হলো। পুরোপুরি আম্মুর হাতের মতো না হলেও খাওয়ার যোগ্য হয়েছে। পাশে একটু আলু ভর্তা আর ডিম ভাজি দিয়ে খেলাম। নিজের রান্না নিজে খেতে অন্যরকম একটা তৃপ্তি লাগলো সেদিন।
এই অভিজ্ঞতা থেকে বুঝলাম রান্না করা আসলে একটা শিল্প। আমাদের মায়েরা প্রতিদিন যে কষ্ট করেন সেটা আমরা বুঝি না। এখন মাঝে মাঝে রান্নাঘরে যাই, অন্তত চা বানানো বা সাধারণ কিছু রান্না শিখছি। ভাইয়েরা যারা একা থাকেন, বেসিক রান্না শিখে রাখা উচিত। ইনশাআল্লাহ সামনে বিরিয়ানি ট্রাই করবো, দোয়া করবেন যেন পুড়ে না যায় 😅
Top comments (0)